বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন। বুধবার (২৪ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মো. জাকারিয়া হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে বলা হয়, রাষ্ট্রপক্ষ আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, তাই শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হলো। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন এ্যানি নিজে এবং তার আইনজীবী মহি উদ্দিন চৌধুরী, জামাল হোসেন, তানজীম চৌধুরী ও খায়রুল ইসলাম লিটন।
এর আগে, গত ১৬ জুলাই যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত আজ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছিলেন।
মামলার পটভূমি অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৯ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ রাজধানীর রমনা থানায় এ্যানির বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, তিনি দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ১৩ লাখ ১৩ হাজার ৯৪০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে ১ কোটি ৪০ লাখ ৪২ হাজার ৬৭০ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।
তদন্তে দুদক দাবি করেছিল, এ্যানির স্থাবর-অস্থাবর ও অপ্রদর্শিত সম্পদের মোট মূল্য ৩ কোটি ৭৫ লাখ ৩৫ হাজার ২৬৬ টাকা, যার মধ্যে দায় হিসেবে দেখানো হয় ৫০ লাখ টাকা। দায় বাদ দিয়ে নিট সম্পদ দাঁড়ায় ৩ কোটি ২৫ লাখ ৩৪ হাজার ২৫৭ টাকা, যেখানে তার ২০১৩ সালের সম্পদ বিবরণীতে ছিল ১ কোটি ৭৬ লাখ ৯১ হাজার ৫৮৭ টাকা।
২০১৬ সালের ২৪ মে আদালত তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয়। পরবর্তীতে হাই কোর্ট স্থগিতাদেশ দিলেও ২০১৯ সালে তা প্রত্যাহার করে বিচার শেষ করতে নির্দেশ দেয়। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ১২ সাক্ষীর মধ্যে ৯ জন সাক্ষ্য দেন, তবে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয় দুদক।