টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করেছে এক প্রতারক প্রেমিক। সেই ঘটনায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ভূক্তভোগী কিশোরীর বড় বোনের স্বামী। পরে ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত আসামি সুমন খাঁকে (৩০) তিন মাস পর গ্রেপ্তার করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ। অভিযুক্ত সুমন উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের শালদাইর গ্রামের জয়নাল খা’র ছেলে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে অভিযুক্ত সুমন খাঁকে তার নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর বুধবার (১২ মার্চ) আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত সুমন খাঁ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের একপর্যায়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনাটি জানাজানি হলে কিশোরীর দুলাভাই বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। থানায় অভিযোগের পরেও গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মহির উদ্দিনের নেতৃত্বে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ বসে। সালিশে ধর্ষণের মূল্যে হিসেবে ১ লাখ টাকা রায় দেয় সালিশকারীরা।
গোবিন্দাসী ইউপি পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনাটি কয়েক মাস আগের। এ ব্যাপারে কয়েক দফা গ্রাম্য সালিশ হয়েছিল। সর্বশেষ ভূক্তভোগী পরিবারকে ১ লাখ টাকা দিয়ে বিষয়টি সমাধান করা হয়।’ এ ঘটনায় এলাকাবাসী অভিযুক্ত ও সালিশকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বলেন, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত আসামি সুমন খাঁকে গ্রেপ্তার করে বুধবার টাঙ্গাইল আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।