টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার রূপশী গ্রামে দুই ভাইয়ের জমি সংক্রান্ত বিরোধ দীর্ঘদিন ধরে চলছিল। সম্প্রতি এই বিরোধ চরমে পৌঁছালে সাবেক স্কুল শিক্ষক পানাউল্লাহ্ মিয়া ও তার পরিবার নিজ পৈত্রিক ভিটায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
স্থানীয়রা ও ঘটনা শিকারদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, পানাউল্লাহ্ মিয়া ও তার ছোট ভাই সাবেক নির্বাচন কমিশনের উপ-পরিচালক সালামত উল্লাহ এর মধ্যে জমি সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছে। বিভিন্ন দফায় গ্রামের সালিশ হলেও ছোট ভাই সালামত উল্লাহ কোনো সিদ্ধান্ত মানেননি।
শালিসে উপস্থিত গ্রাম্য মাতাব্বর নিশান মিয়া বলেন,
“সালামত উল্লাহ ৩০-৪০ জন বহিরাগত লোকজন নিয়ে পানাউল্লাহ্ মিয়ার বাড়ীর রাস্তায় টিন দিয়ে বেরিকেট দিয়েছে। ঘটনাটি অমানবিক।”
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, সালামত উল্লাহ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে মোটা অঙ্কের অর্থনৈতিক সুবিধা অর্জন করেছেন এবং এলাকায় কমপক্ষে ৩০ একর জমি ক্রয় করেছেন। এছাড়া তিনি চাকুরী দেওয়ার নামেও এলাকার যুবকদের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
জমি বিরোধের কারণে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে আদালতে দুইটি সি.আর মামলা দায়ের হয়। এই মামলায় সালামত উল্লাহর বিপক্ষে রায় আসে। রায় বিপক্ষে যাওয়ার পরও ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে সালামত উল্লাহ ও তার বাহামভূক্তরা সহিংসতায় লিপ্ত হয়।
বিরোধের বিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের বলেন,
“দুই ভাইয়ের মধ্যে জমি বিরোধে একাধিকবার শালিস বসেছে, কিন্তু সালামত উল্লাহ খামখেয়ালিপনার কারণে সমাধান হয়নি। তিনি স্থানীয় শালিসের সিদ্ধান্ত মানেননি।”
এ বিষয়ে দেলদুয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেব খান বলেন,
“যেহেতু বিষয়টি জায়গা-জমি সংক্রান্ত, তাই উভয় পক্ষকে আদালতের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”
সালামত উল্লাহর সঙ্গে মোবাইল যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি জানান,
“যে জায়গার উপর বেরিকেট দিয়েছি, তা আমি আমার শরিকের কাছ থেকে ক্রয় করেছি। অন্যান্য অভিযোগ সম্পর্কে সাক্ষাৎ করে জানাব।”