আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত বিজয় দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও বিদায়ী সংবর্ধনায় বক্তব্য দিতে গিয়ে এ ঘোষণা দেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, ১৬ ডিসেম্বর একদিকে বিজয় দিবস, অন্যদিকে প্রায় ১৭ থেকে ১৮ বছর যুক্তরাজ্যে প্রবাসজীবন কাটানোর পর তিনি আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় দেশের বাইরে থাকলেও বাংলাদেশকে ঘিরে আশা, প্রত্যাশা ও দায়িত্ববোধ কখনো কমেনি।
বক্তব্যে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার প্রত্যাশার কথা তুলে ধরে বলেন, প্রায় ৫৫ বছর আগে যারা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, তাদের স্বপ্ন ছিল একটি সুন্দর, গণতান্ত্রিক ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। বিদেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা, বিশেষ করে যুক্তরাজ্যে থাকা মানুষজন যখন পরিচ্ছন্ন রাস্তা, সামাজিক সুযোগ-সুবিধা ও সুশৃঙ্খল জীবনব্যবস্থা দেখেন, তখন স্বাভাবিকভাবেই মনে প্রশ্ন জাগে—নিজের দেশ কেন এমন হতে পারল না।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় বড় কোনো প্রাকৃতিক সম্পদ না থাকলেও তারা ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সামাজিক মূল্যবোধকে গুরুত্ব দিয়ে সবকিছু সুন্দরভাবে সংরক্ষণ করেছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের প্রত্যাশাও ছিল ঠিক এমন একটি দেশ গড়ে তোলা।
তারেক রহমান বলেন, স্বাধীনতার পর মানুষ আশায় বুক বেঁধেছিল যে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের চর্চা হবে এবং সেই চর্চার মধ্য দিয়েই দেশ এগিয়ে যাবে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাকশালের মতো ব্যবস্থা চালু হয় এবং ধীরে ধীরে মানুষের ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার সংকুচিত হতে থাকে।
আলোচনা সভায় বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সামনের দিনগুলো সহজ হবে না। তবে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারলে দলীয় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে এবং প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তোলা যাবে।
বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ওই সভায় তারেক রহমান আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর বিভিন্ন সময়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, সেগুলো নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বারবার বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে।
তথ্য সূত্র : যমুনা টিভি











