টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ধান ক্ষেত থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলার আউলিয়াবাদ ইউনিয়নের শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ফজিলা বেগম উপজেলার পারখী ইউনিয়নের আউলিয়াবাদ গ্রামের মাঝি পাড়ার মৃত চান মাহমুদের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা, ওই বৃদ্ধাকে হত্যা লাশটি লুকানোর চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাত ৩টার দিকে মেয়েরা ফজিলা বেগমকে ডাকাডাকি করলে তার কোনো সাড়াশব্দ পায়নি। এ সময় বৃদ্ধার বসত ঘরটির দরজা ও জানালা বন্ধ ছিল।
শনিবার সকাল ৮টার দিকে ঘরে না পেয়ে মেয়েরা ওই বৃদ্ধাকে খুঁজতে থাকেন। এক পর্যায়ে তাদের বাড়ি পাশের ধান ক্ষেতের পাশে ফজিলা বেগমের লাশ দেখতে পান। ফজিলা বেগমের মুখে কাঁদা মাখানো ছিল। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহত বৃদ্ধার নিকটতম প্রতিবেশী সুমন সুত্রধর তার ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, স্বাভাবিক মৃত্যুর থেকে অস্বাভাবিক মৃত্যু যথেষ্ট পীড়াদায়ক। তিনি তার পোস্ট আরো বলেন, দাদীর বড় মেয়ে কদভানু চাচীকে বলতে শোনা গেল, মায়ের নফল রোজা রাখার কথা ছিলো। এজন্য গত রাত ৩টার সময় তার মাকে ডাকতে যান এবং কোন সাড়া না পেয়ে চলে আসেন। দাদীর সকাল বেলায় হাঁটার অভ্যাস ছিলো। সকালে ঘরে না দেখতে পেয়ে পরিবারের সবাই ভাবছে হাঁটতে বের হইছে। সকাল ১০টার দিকে বাড়িতে ফিরেছ না দেখে সবাই এদিক সেদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। তার পরক্ষণেই আরেক প্রতিবেশী রজনীকান্ত রাজবংশীর চাষকৃত বোরো ধানের ক্ষেত থেকে দাদীর নিথর দেহের খোঁজ মিলে।
ফজিলা বেগমের স্বজনদের ধারণা, কোনো সংঘবদ্ধ চক্র ফজিলাকে হত্যা করে তার গলা, কানে ও হাতে থাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম ভূইয়া জানান, ‘বৃদ্ধা ফজিলা বেগমের মুখে কাঁদা মাখানো ছিল। তার একটি কান কাটা ও নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছিল। তাকে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে লাশটি লুকিয়ে রাখে দুর্বৃত্তরা। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।