সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্পের ঘটনায় ইসলামি শিক্ষাবিদরা সতর্ক করেছেন যে, ভূমিকম্প মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা এবং কিয়ামতের আলামতের অন্যতম মাধ্যম। পবিত্র কোরআনে এবং হাদিসে উল্লেখ আছে, পূর্ব যুগে আল্লাহ বিভিন্ন জাতিকে তাদের অবাধ্যতা ও পাপাচারের কারণে ভূমিকম্পের মাধ্যমে ধ্বংস করেছেন।
উদাহরণস্বরূপ:
-
শোয়াইব (আ.)-এর জাতি অবাধ্যতা, মাপে কম দেওয়া ও অন্যের সম্পদ লুটের কারণে ভূমিকম্পে ধ্বংস করা হয়েছিল (সুরা: আরাফ, আয়াত: ৯১)।
-
লুত (আ.)-এর জাতি সমকামিতা ও অবাধ্যতার কারণে ভূমিকম্পে উল্টে দেওয়া হয়।
-
সালেহ (আ.)-এর জাতি উষ্ট্রী হত্যার অপরাধে ভূমিকম্পের আজাবে ধ্বংস হয়েছিল।
প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সা.) তাঁর উম্মতকে সতর্ক করেছেন যে, যদি সমাজে পাপাচার, জাকাত অবহেলা, ধর্মবিরোধী শিক্ষা ও অসৎ আচরণ ছড়িয়ে পড়ে, তখন অগ্নিবায়ু, ভূমিধস, ভূমিকম্প ও অন্যান্য শাস্তির আলামত একের পর এক ঘটবে (তিরমিজি, হাদিস: ২২১১)।
তবে ধর্মমতে, ভূমিকম্পে নিহত ব্যক্তি শহীদ হিসেবে গণ্য। হাদিসে উল্লেখ আছে, পাঁচ প্রকার শহীদদের মধ্যে একজন হলো ভূমিকম্পে মারা যাওয়া ব্যক্তি (মুয়াত্তা মালেক, হাদিস: ২৮৫)। তাই মুসলিমদের উচিত পাপাচার থেকে বিরত থাকা, নিজ পরিবার ও সমাজকে সতর্ক করা এবং সহমর্মিতার সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকা।











