নাগরপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইল-নাগরপুর-ধুবুরিয়া-সলিমাবাদ-আরিচা মহাসড়কে ১১টি বেইলি ব্রিজ রয়েছে।
এই ১১টি বেইলি ব্রিজের কোনটিতে না কোনটিতে একের পর দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে।
এ নিয়ে চলতি বছরে দুইটি সেতুতে ঘটল ৯টি দুর্ঘটনা। টেংরি পাড়া ব্রিজ ৭ বার এবং তিরছা ব্রিজে ২ বার।
যাতে জনগণকে পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে।
সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) উপজেলার বেকড়া ইউনিয়নে ভালকুটিয়া গ্রামে নোয়াইনদী শাখা খালের উপর তিরছা বেইলি ব্রিজে।
আরো পড়ুন – বাসাইলে রিসোর্ট ও স্পা সেন্টারের কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে বালিকা বিদ্যালয়ের মেয়েরা
একটি সরিষা ভর্তি ট্রাক পারাপারের সময় পাটাতন ভেঙ্গে ব্রিজের আটকে যায়।
মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনার পর থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সকল যান চলাচল। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে দু’পারের ব্যবসায়ীদের বাণিজ্য।
কেন এই সড়কটি এত গুরুত্বপূর্ণ :
জানা যায়, সড়কটির বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখা যায়, ২০১৩ সালে ধলেশ্বরী সেতু চালু হওয়ার পর এই সড়ক ব্যবহার বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
ফলে টাঙ্গাইল থেকে আরিচা ও পাটুরিয়াঘাট যেতে ফেরি পারাপারের বিড়ম্বনার দিন শেষ হয়।
একই সাথে ঢাকার নবীনগর, ধামরাই, মানিকগঞ্জ হয়ে দীর্ঘপথ যাত্রার সমাপ্তি হয়।
আরো পড়ুন – দায়সারা মেরামত করায় সেতুটিতে বার বার ঘটছে দুর্ঘটনা
এতে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে সড়ক যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসে।
ওই অঞ্চল থেকে মালবাহী ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস সড়ক দিয়ে টাঙ্গাইল, জামালপুর, শেরপুরসহ বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করে।
এছাড়াও পদ্মার ওপারের রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, গোপালগঞ্জ, নড়াইলসহ কয়েকটি জেলায় চলাচলের পথ সুগম হয়।
অপরদিকে প্রতিদিন কয়েকশ’ সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ ক্ষুদ্র যানবাহনগুলো টাঙ্গাইল-আরিচা-পাটুরিয়া এলাকায় চলাচল করছে।
এত গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের বেইলী সেতুগুলোর অবস্থা নাজুক হওয়ায় প্রতিদিনই বিপুল সংখ্যক যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে।
সেতুটিতে স্টিলের পাটাতন ক্ষয়ে গেছে। ফলে মোটরসাইকেলসহ হালকা যানবাহন প্রায়ই চাকা পিছলে দূর্ঘটনার শিকার হয়। ভারী যানবাহন উঠলে রীতিমতো কেঁপে ওঠে পুরো সেতু।
এছাড়া ব্রিজ দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল নিষেধ হলেও তা উপেক্ষা করে প্রতিদিন কয়েক’শ ভারি যান চলাচল করছে। এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
আরো পড়ুন – নিবিড় তদন্তের জন্য শিহাব হত্যা মামলা সিআইডিতে- এসপি
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ বছর কয়েকবার রিপেয়ারিং করা হয়েছে কিন্তু কাজের মান ভালো না হওয়ায় কয়েকদিন পরই এই বেইলি ব্রিজে দূর্ঘটনা ঘটে।
তবে এই মূহুর্তে ব্রিজটি ভালো করে সংস্কার না করলে যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
মানুষ উপায় না পেয়েই ব্রিজটি দিয়ে চলাচল করে। এই অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এই ব্রিজ।
সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য –
নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে মেরামতের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি।
সাময়িকভাবে মানুষ চলাচলের উপযোগী করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলিউল হোসেনের সাথে তার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোন রিসিভ করে নাই।
ইতিপূর্বেও যে সকল দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে, তখনও ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই। সম্পাদনা – অলক কুমার