নাগরপুরে ইউনিয়ন পরিষদের রেজুলেশন ও প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ
নাগরপুর সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট দাউদুল ইসলাম দাউদের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদের রেজুলেশন জালিয়াতি, স্বেচ্ছাচারিতা অনিয়ম দূর্নীতির মাধ্যমে ২০১৯-২০/২০২০-২১ অর্থবছরের বিভিন্ন প্রকল্পের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
গত বৃহস্পতিবার ওই ইউনিয়ন পরিষদের ৮ জন সদস্য নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত ই জাহান উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিকীকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
লিখিত অভিযোগে জানাগেছে,নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট দাউদুল ইসলাম (দাউদ )সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে স্বার্থ চরিত্রার্থ করার জন্যে স্বেচ্ছাচারিতা অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে রেজুলেশন জালিয়াতির মাধ্যমে ২০১৯-২০/২০২০-২১ অর্থবছরের এলজিএসপি এডিবি, টিআর/কাবিখা ১% এর বরাদ্দকৃত প্রকল্প অফিসে দাখিল করেন।
ইউনিয়ন পরিষদেও সদস্যদের নিয়ে কোন সভা,মিটিং না করেই তার ইচ্ছে মত প্রকল্প অফিসে দাখিল করেন।
ইউপি সদস্যরা ইউপি সচিবের নিকট কোন তথ্য চাইলে দিতে পারে না। রেজুলেশন খাতা দেখতে চাইলে সচিব বলেন, খাতা চেয়ারম্যানের কাছে।
চেয়ারম্যান প্রকল্পের কাজ না করেই একই রাস্তায় বিভিন্ন প্রকল্প দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করেন বলেও লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়াও ইউপি চেয়ারম্যান বাজার থেকে খাতা কিনে নিয়ে সেই খাতায় প্রকল্পের রেজুলেশন লিখেন ও পুরাতন খাতায় ইউপি সদস্যদের স্বাক্ষর নিয়ে ফটো কপি করে রেজুলেশন জমা দেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
যা ঘৃনিত,নেক্কারজনক ও শাস্তি যোগ্য অপরাধ বলে মনে করেন ওই ইউপি সদস্যরা।
এর প্রতিকার চেয়ে ওই ইউনিয়ন পরিষদের ৮ জন সদস্য স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর প্রেরণ করেন।
ঘটনার প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগ পেয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত-ই-জাহান জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্তের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিকী জানান, তদন্ত চলমান, তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। সম্পাদনা – অলক কুমার