প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে। আর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ত্রাস তৈরি করেছে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী গত রবিবার (৩১ মে) রাতে পাওয়া রিপোর্ট থেকে জানা যায় সরকারি হিসেবে এ উপজেলায় কর্মরত এসিল্যান্ড তারিন মসরুর, উপজেলার সুদাম পাড়ার আব্দুল খালেক (৬০) ও নাটাং এলাকার সন্তান হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্র সজীব (২৫) সহ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৪ হলেও ঢাকায় নমুনা দিয়ে আসা রোগী মিলিয়ে মোট রোগীর সংখ্যা ২৬। এর মধ্যে সোমবার পর্যন্ত মোট সুস্থ্য হয়েছে ৫ জন।
ঈদের সময় ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, গাজীপুর থেকে আসা মানুষের কারণে নাগরপুর এখন করোনা রোগীর হটস্পটে পরিনত হয়েছে। ঈদের দিন রাত থেকে নাগরপুরে হু হু করে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। দেশের অন্য স্থানগুলোর মত নাগরপুরেও বাসা বেঁধেছে প্রাণঘাতি এই ভাইরাস। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী প্রতিদিন বাড়ছে রোগী শনাক্তের সংখ্যা।
শনিবার ও রবিবার রেকর্ড সংখ্যক শনাক্তের তথ্য দিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য অফিস। এই দুই দিনেই এই উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ০৮ জন। টাঙ্গাইল জেলায় এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৮১ জন এর মধ্যে নাগরপুরেই ২৪ জন।
নাগরপুরের যেসব এলাকায় করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে তার মধ্যে মামুদনগর, নাগরপুর সদর, সহবতপুর, মোকনা এলাকায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি।
পজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, নাগরপুর উপজেলা ঢাকা ও মানিকগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা। এ উপজেলায় গাজীপুর, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সাভারসহ বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন এসেছে। মানুষ সচেতন না হওয়ায় করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্ত ব্যক্তিরা বিভিন্ন হাসপাতাল ও নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন। তিনি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে উপজেলাবাসীকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার আহবান জানান।