নাগরপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের নাগরপুরে পয়:নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় চলতি বৃষ্টি মৌসুমে উপজেলা সদর বাজারে জলাবদ্ধতায় জনদূর্ভোগ চরমে উঠছে।
একটু বৃষ্টিতেই সড়কগুলোতে হাটু পানি জমে যায়। দেখে মনে হয়, সড়ক তো নয় যেন সরু খাল।
ভূক্তভোগীদের অভিযোগ, শুধূ ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারণে দীর্ঘদিন ধরে অবর্ণনীয় কষ্ট ও সীমাহীন দূর্ভোগ হচ্ছে জনসাধারণের নিত্যসঙ্গী।
বর্ষা ও বৃষ্টি মৌসুমে জনগণের এ দূর্ভোগ আরো বহুগুণে বেড়ে যায়। সরেজমিন নাগরপুর সদর বাজারের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দূর্ভোগের এসব চিত্র চোখে পড়ে।
আরো পড়ুন – টাঙ্গাইলে সৃষ্টি ছাত্রাবাসে স্কুলছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৬ সালের শেষের দিকে এলজিইডির তত্বাবধানে বাজারের একপাশ দিয়ে পানি নিস্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ করা হয়।
এরপর সংস্কারের কোন উদ্যোগ না নেয়ায় ড্রেনটি বন্ধ হয়ে জনগণের বিষফোড়ায় পরিণত হয়েছে।
জলাবদ্ধ সড়কে ময়লা আর্বজনা পচে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে; এতে হুমকির মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ্য। বেহাল রাস্তাঘাটে জনচলাচল তো দুরের কথা পায়ে হাটাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
উপজেলার সদর বাজারের বটতলা থেকে সোনালী ব্যাংক সড়ক, তালতলা থেকে অগ্রণী ব্যাংক সড়ক ও টাঙ্গাইল আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলা গেট সংলগ্ন সড়কে অল্প বৃষ্টিতে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলজটের কারণে সৃষ্টি হয় তীব্র জানজটের। এছাড়া ছোট বড় খানাখন্দে পানি জমে ঘটছে নানা দুর্ঘটনা; বিঘ্নিত হচ্ছে যানচলাচল; বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা।
আরো পড়ুন – টাঙ্গাইলে বন্যায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত, বাড়ছে পানিবন্দী
ভূক্তভোগীদের কষ্টের কথা –
এবিষয়ে আইনজীবী রাজিউল ইসলাম লেবু জানান, তালতলা হয়ে অগ্রণী ব্যাংক সড়কে বৃষ্টির পানি জমে এমন বেহাল অবস্থা হয়েছে যে পায়ে হাটা দুস্কর বাধ্য হয়ে কাঁচা বাজার সড়ক ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
স্কুল শিক্ষক হারুন-অর-রশিদ বলেন, ব্রিজ কালভাট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবোকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হলেও উপজেলা সদর বাজারে শুধু মাত্র ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনগণকে।
সিএনজি চালিত অটো-রিক্সা চালক শহিদুল বলেন, বৃষ্টির পানি জমে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় অনেক সময় গাড়ি উল্টে যাত্রীরা দুর্ঘটনার শিকার হন।
কর্তৃপক্ষের কথা –
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মাহবুবুর রহমান জানান, তালতলা থেকে অগ্রণী ব্যাংক সড়কটি সংস্কারের জন্য ইতোমধ্যে এডিবি থেকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া নিচু সড়কগুলো বৃষ্টি মৌসুম শেষে ব্রিকস সোলিং করে যান ও পথচারীদের চলাচলের উপযোগী করা হবে।