টাঙ্গাইলের নাগরপুরে নতুন করে এক পুলিশ সদস্য ও একই পরিবারের ৩ জন সহ ৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২১ মে স্বাস্থ্যকর্মীরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠান। এর মধ্যে নাগরপুর থানার পুলিশ কনস্টেবল কামরুল ইসলাম (গাড়ি চালক) সহ সোমবার (২৫ মে) ঈদের দিন রাতে ৪ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে।
আক্রান্ত একই পরিবারের ৩ জন হলো উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের বাঘের বাড়ি গ্রামের হারুন অর রশিদ, তার স্ত্রী খুরশিদা বেগম ও তার মা আমেনা বেগম। ঢাকায় আক্রান্ত হারুন অর রশিদের এক আত্মীয়র মাধ্যমে তারা পরিবারের সকলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। ঈদুল ফিতরের দিন ৪ জনের করোনা পজিটিভ হওয়ার খবরে নাগরপুরের মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম আক্রান্তদের আইসোলেশনে পাঠানো ও আক্রান্তদের বাড়িসহ আশপাশের বাড়ি লকডাউনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্যকর্মীরা নাগরপুর থেকে এ পর্যন্ত ২০০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে ২১ মে পর্যন্ত ১৯০ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য ও একজন স্বাস্থ্যকর্মীর স্বামী সহ ১৪ জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো.রোকনুজ্জামান খান বলেন, নাগরপুর উপজেলা ঢাকা ও মানিকগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা। এ উপজেলায় গাজীপুর, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সাভারসহ বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন এসেছে। মানুষ সচেতন না হওয়ায় করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্ত ব্যক্তিরা বিভিন্ন হাসপাতাল ও নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন। তিনি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে উপজেলাবাসীকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার আহŸান জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম জানান, উপজেলা প্রশাসন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে নিরলসভাবে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে। করোনা পজিটিভ আসা ৪ জনকে আইসোলেশনে নেয়ার এবং তাদের বাড়িসহ আশপাশের বাড়ি লকডাউনের প্রক্রিয়া চলছে।