পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার হাজী গয়েজ উদ্দিন মহিলা ফাজিল মাদ্রাসায় পাঁচ শিক্ষকের নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে তাদের বেতন-ভাতা বন্ধ এবং উত্তোলিত অর্থ রাজস্ব খাতে ফেরতের সুপারিশ করেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর। ২০২৪ সালে মাদ্রাসায় পরিচালিত অডিটে এসব অনিয়ম ধরা পড়ে।
অডিট প্রতিবেদনে বলা হয়, নিয়োগকালীন সময় থেকে সর্বশেষ পর্যন্ত উত্তোলন করা কোটি টাকার বেশি অর্থ ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে হবে।
বেতন-ভাতা বন্ধ হওয়া শিক্ষকরা হলেন— আরবি বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ ও মো. আজহারুল ইসলাম, সহকারী মৌলভী মো. সাইদুল ইসলাম, শরীরচর্চা শিক্ষক শাহিদা খাতুন এবং এবতেদায়ি ক্বারী সেলিম উদ্দিন।
অভিযুক্ত শিক্ষকরা জানান, নিয়োগ দিয়েছেন তৎকালীন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। অনিয়ম হয়ে থাকলে সেটি নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কারণে হয়েছে। কিন্তু তার দায় এখন শিক্ষকরা বহন করছেন। বেতন বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে জানান তারা।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, “পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের সুপারিশে পাঁচজন শিক্ষকের বেতন-ভাতা বন্ধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে উত্তোলিত অর্থ ফেরতের নির্দেশও এসেছে। এ বিষয়ে মাদ্রাসার সভাপতি ও পাবনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়া হবে। তার নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”