পদ্মা নদীতে হঠাৎ করে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দেওয়ায় ফরিদপুরের সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলার নদীপাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গত তিন সপ্তাহে এসব এলাকায় নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে শতাধিক পরিবার ঘরবাড়ি সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে আকোটেরচর, পিয়াজখালির চর, খোকারাম সরকারের ডাঙ্গী, নন্দলালপুর, জামাল শিকদার কান্দি, চরমানাইর, শিমুলতলী ঘাটসহ আরও অন্তত ২০টি গ্রাম। ভাঙনের মুখে রয়েছে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরসহ ফসলি জমি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতি বছর পদ্মা নদীতে পানি বাড়ার সময় ভাঙন হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) তা রোধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয় না। এছাড়া অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণেও ভাঙন তীব্র হচ্ছে বলে জানান অনেকে।
চরঝাউকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান মৃধা জানান, তার ইউনিয়নে চারটি পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে এবং তিন হাজার বিঘা বাদামের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন জানান, কিছু এলাকায় নদীর গভীরতা বেশি হওয়ায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় একটি টিম কাজ করছে। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে টেকসই প্রকল্প অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।
স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে আরও ঘরবাড়ি ও কৃষিজমি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।