পাইলস বা হিমোরয়ডের সমস্যায় ভুগছেন এমন রোগীদের খাদ্যাভ্যাসে সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি। কিছু খাবার পাইলসের উপসর্গ বাড়াতে পারে, আবার কিছু খাবার সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
পাইলসের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর খাবার:
-
অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার: বেশি মশলা হজমে সমস্যা তৈরি করে এবং পাইলসের ব্যথা বাড়ায়।
-
ডুবো তেলে ভাজা খাবার: হজম কঠিন করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ায়।
-
অতিরিক্ত চা ও কফি: দিনে এক বা দুই কাপ ঠিক আছে, তার বেশি হলে সমস্যা হতে পারে। চিনি মেশানো চা বা কফি এড়িয়ে চলুন।
-
অতিরিক্ত চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার: ফাইবার কম থাকায় হজমে সমস্যা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য তৈরি করে।
পাইলসের রোগীদের জন্য পরামর্শিত খাবার ও অভ্যাস:
-
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন (দিনে ৪-৫ লিটার)।
-
হালকা ও তরল খাবার, যেমন মুগ ডাল, অড়হড় ডাল, ভাত ইত্যাদি গ্রহণ করুন।
-
মূলা ও গাজর খাবারে বা সালাদের সঙ্গে যুক্ত করুন।
-
৫০-১০০ মিলিলিটার মুলার শরবত দিনে তিনবার পান করুন।
-
ভারী পালস যেমন কাল গ্রাম, কিডনি গ্রাম, লোব্যিয়া এড়িয়ে চলুন।
-
অ্যালকোহল, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য থেকে দূরে থাকুন।
-
ভারী ব্যায়াম ও দীর্ঘসময় বসে থাকা এড়িয়ে চলুন; প্রতি এক ঘণ্টা পর ১০ মিনিট হেঁটে নিন।
প্রস্তাবিত খাবারের রুটিন:
-
ব্রেকফাস্ট: ডালিয়া, সবজি, ফলের সালাদ।
-
দুপুরের খাবার: হালকা খিচুড়ি, ভাত ও মুগ ডাল।
-
রাতের খাবার: মুগ ডাল, সবজি, ভাত বা রুটি। হাফ চামচ বাড়িতে বানানো মাখন যোগ করা যেতে পারে।
প্রয়োজনে ঘুমানোর আগে এক চামচ ত্রিফলা চূর্ণ বা অন্য পাচক শক্তি বাড়ানোর জিনিস গরম পানিতে গ্রহণ করতে পারেন। প্রচুর ফাইবারযুক্ত ফল ও সবজি, যেমন পেঁপে, ফিগ, তরমুজ, ডালিম, পেয়ারা নিয়মিত খাবার তালিকায় রাখুন।