পূর্ব শত্রুতা , এলাকার আধিপত্য ধরে রাখতে খুন করা হয় ইশরাককে। এছাড়াও বিভিন্ন আর্থিক লেনদেন, এলাকার শালিস নিয়ে মতানৈক্যের কারনেই ইশরাককে খুন করা হয়। এমন সব ঘটনা জানিয়ে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন মামলার প্রধান আসামি সোহানুর রহমান ওরফে সোহান।
টাঙ্গাইলের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের কোর্ট ইন্সপেক্টর তানবীর আহমেদ জানান, এই মামলার প্রধান আসামি সোহানুর রহমান ওরফে সোহান সোমবার বিকেলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: আমিনুল ইসলাম এই জবানবন্দী রেকর্ড করেন। পরে সোহান এবং অপর দুই আসামি সিহাব ও সাব্বিরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন জানান, এই মামলার প্রধান আসামি সোহানকে রোববার ভোরে বগুড়া সদর উপজেলার বৃন্দাবনপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার পর থেকে সোহান সেখানে আত্মগোপনে ছিল। সোহান টাঙ্গাইল জেলার আশেকপুরের আলমগীর হোসেনের ছেলে। তাকে সনাক্ত করা হয় ঘটনাস্থলের একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে।
এর আগে গত বুধবার বিকেলে শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত নজরুল সেনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের গলিতে আশেকপুর এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে ইশরাককে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।