প্রহসনের নির্বাচন ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (৩ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এদিন নুরুল হুদার আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম সজীব জামিনের পক্ষে শুনানি করেন, তবে রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।
এর আগে ১ জুলাই এই মামলায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন সাবেক সিইসি নুরুল হুদা। সেদিনই তার জামিন আবেদন করা হলে আদালত শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেছিলেন।
গত ২২ জুন শেরেবাংলানগর থানার মামলায় নুরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। প্রথম দফার রিমান্ড শেষে ২৮ জুন ফের চার দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। একই মামলায় ২৫ জুন মগবাজার এলাকা থেকে আরেক সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার তিন দিনের রিমান্ড শেষে ২৮ জুন কারাগারে পাঠানো হয়।
বিএনপির করা এ মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ভোটারবিহীন নির্বাচন আয়োজন করেছেন তৎকালীন সিইসিরা। পরে মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারাও যুক্ত করা হয়।
মামলায় ২০১৪ সালের তৎকালীন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের সিইসি এ কে এম নুরুল হুদা ও ২০২৪ সালের সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের পাশাপাশি সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজীর আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করা হয়েছে।