কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের ৫ জনের আহতের খবর পাওয়া যায়।
সংঘর্ষগতকাল রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাজিবপুর বাজারের মেইন গলিতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন- টাঙ্গালিয়া পাড়া গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে ইয়াকুব আলী (৩২) কাচারি পাড়া গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে হারুন অর রসিদ (১৮) ও কাচারি পাড়া গ্রামের মৃত শাহার আলীর পুত্র শরিফুদ্দিন (৪০), সাংবাদিক সুজন মাহমুদ (২৪)। একজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা বিএনপিতে অধ্যাপক মোখলেছুর রহমানের নাম না থাকায় একটি পক্ষ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তিরস্কার করেছেন। সেই ফেসবুকে স্ট্যাটাসটি দেখে সামনাসামনি কথা-কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় সাংবাদিক সুজন মাহমুদ আহত হন বলে তিনি জানান।
শহীদুর রহমান নামের আইডি থেকে দেওয়া ওই স্টাটাসটিতে দেখা যায় তিনি লিখেছেন, ‘আমার চেয়ে যোগ্য কুড়িগ্রাম ৪ এ আর কে আছে! আমার নামই নাই! ফ্যাক্ট : জেলা কমেটি।’ উপজেলা যুব দলের আহবায়ক রুস্তম মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো গ্রুপিং নেই, তুচ্ছ ঘটনা থেকে এই ঘটনা ঘটেছে।’
ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে সাবেক সভাপতি মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমি ঘটনার ব্যাপারে জানি না।
জেলা বিএনপি কমিটির লোকজনের সঙ্গে আমি এই মুহূর্তে ঢাকায় অবস্থান করছি। বিএনপির বৃহৎ রাজনৈতিক দল নানাবিধ লোকজন রয়েছে দলের মধ্যে। কেউ কেউ আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য চেষ্টা করছে। যদি কেউ আমার নাম নিয়ে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করে থাকে আমি বাসায় গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাক্তার মো. হাসিব জানান, সন্ধ্যায় সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ জন চিকিৎসা নিয়েছেন।
এদের মধ্যে ইয়াকুব আলী গুরুতর আহত হয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
রাজিবপুর থানার ওসি মো. তসলিম উদ্দিন বলেন, ‘এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাইনি। অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।’