ভূঞাপুর প্রতিনিধি : গভীর রাতে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দুর্ঘটনা ও পরিবহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় বন্ধ ছিল সেতুর টোল আদায়।
ফলে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব ও পশ্চিমে পরিবহনের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়েছে।
এতে টাঙ্গাইলের কালিহাতীর পুংলি এবং সেতুর পশ্চিম পাড় থেকে সিরাজগঞ্জ সড়ক পর্যন্ত পরিবহনের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) রাত ২টা থেকে শুক্রবার (১৬ জুলাই) সকাল ৯টা পর্যন্ত দফায় দফায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় বন্ধ ছিল। এতে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ আরও বেড়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু সূত্রে জানা যায়, দেশে লকডাউন শিথিল হওয়ায় মহাসড়কে দ্বিগুণেরও বেশি যানবাহন বেড়েছে।
এতে কোথাও কোথাও যানজটসহ ধীরগতিতে চলছে পরিবহন। এতে দফায় দফায় সেতুতে টোল আদায় বন্ধ রাখে সেতু কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর ১২ নম্বর পিলারের কাছে মোটরসাইকেল ও ট্রাকের সংঘর্ষ বাঁধে।
এই ঘটনায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ হাসপাতালে পাঠায় সেতু কর্তৃপক্ষ।
এ ছাড়া দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি সেতুর ওপর থেকে সরাতে বন্ধ করে দেওয়া হয় পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ের টোল আদায়।
পরে পুনরায় টোল আদায় চালু করা হলে মহাসড়কে পরিবহনের চাপ বেড়ে যায়। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় বন্ধ রাখা হয় টোল আদায়।
এদিকে মহাসড়কে পরিবহনের ধীরগতির কারণে ঢাকাগামী পরিবহন সেতুর পূর্ব থেকে ভুঞাপুর হয়ে ঘুরে এলেঙ্গায় মহাসড়কে গিয়ে উঠছে।
এতে ভোরে ভুঞাপুর-বঙ্গবন্ধু সেতু সড়কের মাটিকাটাতে বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। তবে এঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে মহাসড়কে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ পরিবহন চলাচল করছে।
ফলে চাপ বেড়ে যাওয়ায় যানবাহন ধীরগতিতে চলাচল করছে। এছাড়া গরুবাহী ট্রাকও রয়েছে প্রচুর।
মহাসড়কে যানজটমুক্ত পরিবহন চলাচল করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ।
এবিষয়ে জানতে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম ও ওসি (তদন্ত) শাহিদুল ইসলামের মোবাইলে বার বার যোগাযোগ করলেও তারা ফোন ধরেননি। সম্পাদনা – অলক কুমার