নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির শাসনামলে বিভিন্ন এলাকায় মানুষ না খেয়ে মারা গেছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি জোটের আমলে আশ্বিন-কার্তিক মাসে প্রায় প্রতিদিনই মানুষ না খেয়ে মারা গেছে।
কিন্তু গত ১৩ বছরে আজকের দিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের আমলে একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি।
না খেয়ে মানুষ মারা গেছে, এমন একটা খবরও আসেনি, ইনশাআল্লাহ আর কোনোদিন আসবে না। আওয়ামী লীগের আমলে কোনো মানুষ না খেয়ে মারা যাবে না।’
এ সময় দেশে খাদ্যদ্রব্যের দাম নিয়ে গুজব ছড়িয়ে ফায়দা নেয়ার অপচেষ্টা চলছে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি জোট, তথাকথিত সুশীল সমাজ ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি খাদ্যদ্রব্যের দাম নিয়ে গুজব ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে ফায়দা নেয়ার অপচেষ্টা করছে।
১৯৭৪ সালে এই অপশক্তি কুড়িগ্রামের বাসন্তীকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জাল পরিয়ে দুর্ভিক্ষের অপপ্রচার ছড়িয়ে বিশ্বে দেশের ও বঙ্গবন্ধুর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছিল।
‘তেমনিভাবে বিএনপিসহ এই অপশক্তি দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ে গুজব ও অপপ্রচার ছড়াতে চাইছে। ক্ষমতার জন্য ‘বাসন্তী প্লট’ তৈরি ও তা প্রচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
কিন্তু এ সুযোগ আর তারা পাবে না, দেশের মানুষ আর বিভ্রান্ত হবে না’ বলেন তিনি।
কিছু নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও দেশে খাদ্যের কোনো সংকট ও হাহাকার নেই উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সম্প্রতি কিছু নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে, কিন্তু খাদ্যের কোনো সংকট নেই।
দেশে খাদ্য নিয়ে এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যার জন্য অনশন, মানববন্ধন বা হরতাল করতে হবে।’
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী সরকারি কলেজ মাঠে শনিবার সকালে আয়োজিত উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন –
তিনি আরও বলেন, ‘মোটা চালের দাম গত দুই মাস বাড়েনি। পিঁয়াজের দাম নিম্নমুখী, কৃষকেরা এখন দাম বাড়াতে চাপ দিচ্ছে।
আলুর দাম কম, কৃষকেরা দাম বাড়াতে চাপ দিচ্ছেন। রোজা শুরু হচ্ছে, বেগুনের দামও স্থিতিশীল।
তারপরও বর্তমান সরকার মানুষের কষ্ট লাঘবে কম মূল্যে এক কোটি পরিবারকে নিত্যপণ্য দেয়াসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে; ফলে খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে।’
দ্রব্যমূল্যে নিয়ে বিএনপির আন্দোলন, অনশন করা শোভা পায় না; বরং তাদের লজ্জা পাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি।
তিনি বলেন, ‘পত্রপত্রিকা ও রেকর্ড থেকে প্রমাণ দিয়ে বলতে পারি; তাদের শাসনামলে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দেশে প্রতি বছর মঙ্গা হয়েছে।
লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন মানুষ না খেয়ে থেকেছে; তাদের হাড্ডিসার পান্ডুর চেহারা আমরা দেখেছি।’ সম্পাদনা – অলক কুমার