নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাঁচ দিন ব্যাপী দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটে।
চন্ডীপাঠ, বোধন এবং দেবীর অধিবাসের মধ্য দিয়ে (২২ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয় বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
এবার দেবী এসেছেন দোলায়, ফিরেছেন গজে।
যদিও দীর্ঘমেয়াদী বন্যা ও করোনা মহামারীর সংক্রমণ এড়াতে এবারের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়।
উৎসব সংশ্লিষ্টবিষয়গুলো পরিহার করে সাত্ত্বিক পূজায় সীমাবদ্ধ রাখতে হয়েছে বিধায় এবারের দুর্গোৎসবকে শুধু ‘দুর্গাপূজার্থ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
এক দিকে করোনা অন্য দিকে বৈরী আবহাওয়া অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে উৎসবকে।
তারপরও ভক্তরা তাদের হৃদয়ের ব্যাকুলতা আর চোখের জলে দেবীকে বিদায় জানিয়েছেন।
সোমবার (২৬ অক্টোবর) বিকাল থেকে শুরু করে রাত্রি ৯টা পর্যন্ত প্রতিমা বিসর্জন দিয়েছেন ভক্তরা।
এসময় প্রতিটি বিসর্জন স্থলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও আলোর ব্যবস্থা করা হয় উপজেলা ও পৌরসভা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
বিজয়া দশমী উপলক্ষে টাঙ্গাইলের সনাতন ধর্মালম্বীসহ সকলকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
সকলকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানান, এবারের দুর্গাপুজা অন্যান্য বছরের ন্যায় ছিল না।
তবুও সকলের ঐকান্তিক ও সম্মিলিত চেষ্টায় সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পূজার সকল আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে।
সেজন্য তিনি টাঙ্গাইলবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. আতাউল গণি বলেন, দীর্ঘমেয়াদী বন্যা ও করোনা পরিস্থিতিতেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে উৎসব পালন করা যায়, এবারের দুর্গাপূজা তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
এসময় তিনি এই কাজে সহযোগিতাকারী সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সম্পাদনা – অলক কুমার