বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় খাবার মসুর ডাল। ভাত কিংবা খিচুড়ির সঙ্গে এই ডাল না থাকলে অনেকেরই আহার পূর্ণ হয় না। দেশে বর্তমানে মসুর ডালের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৭ লাখ টন। এর মাত্র এক-তৃতীয়াংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়, আর বাকি অংশ আমদানি করা হয় ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নেপাল ও কানাডা থেকে।
গত দেড় মাস ধরে আমদানি করা চিকন বা ভারতীয় মসুর ডালের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। কিছুদিন আগেও খুচরা বাজারে এই ডালের কেজি ছিল ১২৫ টাকার আশেপাশে, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০ টাকার কাছাকাছি।
অন্যদিকে, দেশি মোটা মসুর ডালের দাম এখনও ৯৫ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে ঘুরছে। মুগ ডাল, খেসারি ডাল ও বুটের ডালের বাজারেও তেমন পরিবর্তন দেখা যায়নি।
রোজার পাঁচ মাস আগেই কৌশলে দাম বাড়ানো হচ্ছে কি না—এ নিয়ে বাজারে আলোচনা থাকলেও ডিলাররা তা অস্বীকার করছেন। ব্যবসায়ীদের দাবি, কানাডা মসুর ডালের সবচেয়ে বড় রফতানিকারক এবং ভারত সবচেয়ে বড় ভোক্তা। কানাডার উৎপাদন খরা ও তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে কমেছে। এর ওপর ভারত বিদেশি ডালের ওপর ১০ শতাংশ নতুন শুল্ক আরোপ করেছে। ফলে আমদানি খরচ বেড়ে গেছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ডাল আমদানিতে মোট ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে, যার বড় অংশই মসুর ডাল আমদানিতে।