পাকিস্তানের সাম্প্রতিক ব্যালিস্টিক মিসাইল মহড়ার পর আবারও আলোচনায় এসেছে পাক-ভারত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিযোগিতা। দুই প্রতিবেশী দেশের সামরিক ভাণ্ডারে রয়েছে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ মিসাইলসহ নানা আধুনিক সমরাস্ত্র। তবে সক্ষমতার বিচারে এই ক্ষেত্রে ভারতের আধিপত্য বেশ স্পষ্ট।
ভারতের সর্বোচ্চ পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল ‘অগ্নি-৫’ আঘাত হানতে পারে ১৬,০০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে, যা বিশ্বের উন্নত সামরিক শক্তিধর দেশগুলোর সামর্থ্যের সমতুল্য। শুধু অগ্নিই নয়, পৃথ্বি, সূর্য, কালামসহ বিভিন্ন শ্রেণির স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল ভারতের অস্ত্রাগারে রয়েছে। এর বাইরে ব্রহ্ম ও নির্ভয় ক্রুজ মিসাইলও রয়েছে, যেগুলো পরমাণু ও প্রচলিত উভয় ধরণের অস্ত্র বহনে সক্ষম।
ট্যাংক, জাহাজ ও সাবমেরিন ধ্বংসে ভারতীয় সামরিক বাহিনী ব্যবহার করে নাগ, অমোঘ, রুদ্র, অস্ত্র ও ত্রিশূল ক্ষেপণাস্ত্র। এসব মিসাইল ভূমি, আকাশ কিংবা জাহাজ থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য।
বিশ্বে ভারতই চতুর্থ দেশ, যার কাছে স্যাটেলাইট বিধ্বংসী মিসাইল রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চীনের পর ভারতের এই সাফল্য দেশটির সামরিক আধুনিকীকরণকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।
অন্যদিকে, পাকিস্তান তাদের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি মূলত ভারতকে লক্ষ্য করে সাজিয়েছে। দেশটির অস্ত্রভাণ্ডারে রয়েছে আবদালি, নাসর, ঘোরি ও গজনবি নামের ব্যালিস্টিক মিসাইল, যেগুলোর সর্বোচ্চ পাল্লা ২,৭০০ কিলোমিটার এবং ৫০ কিলোটন পর্যন্ত পরমাণু ও প্রচলিত অস্ত্র বহনে সক্ষম।
এছাড়াও পাকিস্তানের কাছে রয়েছে জার্ব, আবাবিল, তৈমুর ও বাবুর নামের ক্রুজ মিসাইল, যেগুলো স্থল, জাহাজ এবং সাবমেরিন টার্গেটে ব্যবহার করা হয়।
দুই দেশের এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিযোগিতা দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন করে সামরিক ভারসাম্যের প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে রাজনৈতিক কূটনীতি ও পারস্পরিক আস্থার বিকল্প নেই।