টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে শিক্ষক কর্তৃক আবাসিকে থাকা একজন ছাত্রকে বলাৎকার করার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে পরিবারটিকে চাঁপ সৃষ্টি করার অভিযোগ উঠেছে। এতে ভূক্তভোগী পরিবার আইনের আশ্রয় নিতে ভয় পাচ্ছেন। এদিকে ধর্মের দোহাই দিয়ে ভূক্তভোগীর পরিবারকে মামলা না করার জন্য চাপ দেয়া বলাৎকারকারী এবং মাদরাসা প্রতিষ্ঠান। ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষক ওয়ালী উল্লাহ্ জনরোষের ভয়ে পলাতক রয়েছে।
শনিবার দুপুরে ভূঞাপুর পৌরসভা সংলগ্ন মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল-কারীম দারুর উলুম আজাদী মাদরাসার ১১ বছরের শিক্ষার্থী তাকে বলাৎকার ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তোলে শিক্ষক ওয়ালী উল্লাহর বিরুদ্ধে। শিক্ষক ওয়ালী উল্লাহ্ নাজেরা বিভাগে পাঠদান করেন।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার (২২ জুলাই) পড়াশোনা শেষ করে মাদরাসায় ঘুমাচ্ছিল যৌন নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্র। মাঝরাতে তাকে কাজের কথা বলে ঘুম থেকে ডেকে তুলে নেয় শিক্ষক ওয়ালী উল্লাহ্। পরে সেখানে ওই ছাত্রকে দিয়ে তার পা এবং শরীর মালিশ করায়। কিছুক্ষণ পর সেই ছাত্রকে তিনি তার যৌনাঙ্গ মালিশ করতে বলেন। পরে বাধ্য করে সে কাজটাও করানো হয় তাকে দিয়ে। সর্বশেষ তাকে বিকৃত যৌনাচারে লিপ্ত করে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিচারের দাবী করেছেন এলাকাবাসী।
যৌন নির্যাতনের শিকার মাদরাসা ছাত্র জানায়, ঘুম থেকে তুলে নিয়ে হুজুরের হাত পা টিপে দিতে বলে। তারপর তার গোপনাঙ্গ টিপে দিতে বাধ্য করেছে। এরপর আরো খারাপ কিছু করতে আমাকে বাধ্য করা হয়। পরের দিন আমাকে আর ডাকে নি। দুইদিন পর বৃহস্পতিবার রাতে ফের ডেকে নিয়ে যায়। যেতে না চাইলেও জোর করে নিয়ে যায়। আমাকে দিয়ে সেই একই কাজ করানো হয়। পরে আমাকে বলাৎকার করার সময় আমি চিৎকার দিলে ছেড়ে দেয়।
ভূক্তভোগীর মা বিচার চেয়ে বলেন, ধর্মীয় শিক্ষায় বড় হওয়ার জন্য ছেলেকে দিয়েছিলাম। সেই ধর্মীয় শিক্ষকই যদি এমন ঘৃনিত কাজ করতে পারে তাহলে, সেই ব্যাক্তিরা ধর্মের দোহাই কেমনে দেয়। আজ ছেলের সাথে করেছে, কাল আরেকটা ছেলের সাথে করবে। এটা মেনে নেয়া যায় না।
ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম রেজাউল করিম জানান, এ ব্যাপারে এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।