উচ্ছৃঙ্খল জনতার সংঘবদ্ধ সহিংসতা বা ‘মব ভায়োলেন্স’-এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, জনতার নামে কোনো বিশৃঙ্খলা বা সহিংসতা আর বরদাশত করা হবে না। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী এখন আগের চেয়ে আরও কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে।
বুধবার (২১ মে) ঢাকা সেনানিবাসের সেনা প্রাঙ্গণে আয়োজিত অফিসার্স অ্যাড্রেসে এই বার্তা দেন তিনি। সেখানে ঢাকায় অবস্থানরত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা সরাসরি এবং ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন। উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এই বক্তব্যের বিষয়বস্তু জানা গেছে। যদিও আইএসপিআর (আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর) এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
সেনাপ্রধান বলেন, গত আগস্ট থেকে সেনাবাহিনীর ধারাবাহিক পেশাদার ভূমিকা সত্ত্বেও কিছু মহল তাঁকে এবং পুরো বাহিনীকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে। তিনি দৃঢ়ভাবে জানান, সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি এমন কোনো কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কখনো যুক্ত হবে না, কাউকে যুক্ত হতেও দেওয়া হবে না।
ভবিষ্যৎ নির্বাচন প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, সেনাবাহিনীর সব সদস্যকে নিরপেক্ষ থাকার পাশাপাশি যেকোনো নির্বাচনী দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংস্কার ইস্যুতে তিনি মন্তব্য করেন, কী ধরনের সংস্কার হচ্ছে, বা কোন প্রক্রিয়ায় তা হচ্ছে—এ বিষয়ে তাঁর কোনো পূর্বধারণা বা পরামর্শ নেয়া হয়নি।
মানবিক করিডর সংক্রান্ত বিষয়ে সেনাপ্রধান জানান, এ ধরনের সিদ্ধান্ত একটি নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমেই আসতে হবে এবং সেটি বৈধ প্রক্রিয়ায় হতে হবে। জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সকল পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর তিনি জোর দেন। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়া এমন কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত নয়।
তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টিকেও জাতীয় স্বার্থে বিবেচনার দাবি জানান।