ঢাকা: মব সন্ত্রাস বন্ধ করা না গেলে ভবিষ্যতে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও এমন ঘটনার শিকার হতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি। তার আশঙ্কা, পুলিশের আইজি কিংবা সেনাবাহিনী প্রধানকেও একদিন জনতার উত্তেজিত ভিড় ঘিরে ফেলতে পারে, আর তখন রাষ্ট্রের কাঠামোই হুমকির মুখে পড়বে।
সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নুরুল হুদার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন তিনি।
গোলাম মাওলা রনি বলেন, “নুরুল হুদার গলায় জুতার মালা পরিয়ে, গালে চড় মেরে যে বার্তা দেওয়া হয়েছে, তা দেশের আইন-শৃঙ্খলা এবং রাষ্ট্রীয় কাঠামোর ভিত্তিকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো, কেবল যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তাদের নয়—এই অপশক্তিকে সংগঠিত করছে এমন শিকড়সম গ্রুপগুলোকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।”
তিনি আরও বলেন, “এই উগ্রতা থামানো না গেলে ভবিষ্যতে ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত হোসেন, এমনকি রাষ্ট্রের আরও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও জনরোষের শিকার হতে পারেন। যদি এখনই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে ভবিষ্যতে রাষ্ট্রের কোনো পদই নিরাপদ থাকবে না।”
গোলাম মাওলা রনি এ সময় সমালোচনা করেন এমনসব মন্তব্য বা বিবৃতির, যা মব সন্ত্রাসের ঘটনাকে হালকাভাবে নেয় অথবা নীরবতা পালন করে। তিনি বলেন, “যারা এই ধরনের ঘটনাকে আড়াল করছেন বা রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছেন, তাদেরও আইনের আওতায় আনা জরুরি।”
সাবেক এই এমপি আরও জানান, দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে যদি মব সন্ত্রাসকে জায়গা দেওয়া হয়, তাহলে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার এবং শৃঙ্খলা—সবকিছু ভেঙে পড়বে।