২০১৪ সাল থেকে শুরু হওয়া রাশিয়ার এ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে পেশাদার ও শৌখিন আলোকচিত্রীরা অংশগ্রহণ করেন।
এবারের প্রতিযোগিতায় শৌখিন আলোকচিত্রী আলী আশরাফ ভূইয়া জিতেছেন চারটি পুরস্কার। একটি রৌপ্য পুরস্কার ও তিনটি সম্মাননা পুরস্কার জিতেছেন তিনি।
আলোকচিত্রী আলী আশরাফ ভূইয়া পেশায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা, যিনি বর্তমানে পুলিশ সুপার হিসেবে বগুড়ায় কর্মরত।
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে তার তোলা ‘রেড চিলি হারভেস্টিং’ শিরোনামের লাল মরিচ শুকানোর ছবির জন্য ভ্রমণ বিভাগে তিনি জিতেছেন রৌপ্য পুরস্কার।
এছাড়া বঙ্গবন্ধু সেতুর নিচে শীতে শীর্ণ যমুনা নদীর ছবি ‘বার্ডস আই ভিউ অব বঙ্গবন্ধু ব্রিজ’ ছবিটি স্থাপত্য বিভাগে এবং শীতে মরুভূমিতে রূপ নেওয়া যমুনা নদীর দুটি ছবি ‘ক্রসিং দ্য ডেড রিভার যমুনা’ এবং ‘ক্রসিং দ্য রিভার যমুনা’ ছবি দুটি ভ্রমণ বিভাগে সম্মাননা পেয়েছে।
রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা আলোকচিত্রী পিনু রহমানের তোলা দুটি ছবি এ প্রতিযোগিতায় পেয়েছে সম্মাননা পুরস্কার।
‘চাইল্ডহুড দ্য বিউটিফুল স্টেশন অব লাইফ’ শিরোনামে তার তোলা শিশুদের দুরন্ত শৈশবের ছবি এবং ‘ক্রাউড ভেলি আফটার ডেথ’ শিরোনামে চুড়িহাট্টার ভয়াবহ আগুনের ছবি এ পুরস্কার জিতে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পাঁচ শতাধিক পুরস্কার বিজয়ী বাংলাদেশি আলোকচিত্রী তানভীর হাসান রোহানের একটি ছবি ও একটি ছবির গল্প এ প্রতিযোগিতায় সম্মাননা পুরস্কার জিতেছে।
আবুধাবিতে তোলা ‘দ্য শেখ জায়েদ মস্ক’ শিরোনামে তার ছবিটি স্থাপত্য বিভাগে পুরস্কার পায়। এছাড়া বনানীর টিঅ্যান্ডটি বস্তিতে অগ্নিকান্ডের একটি ফটো স্টোরির জন্য তিনি এ পুরস্কার পান।
শৌখিন আলোকচিত্রী তৌহিদ পারভেজ বিপ্লবের তোলা একটি ছবিও এ প্রতিযোগিতায় পেয়েছে সম্মাননা পুরস্কার।
পেশায় ব্যবসায়ী এবং বগুড়া ফটোগ্রাফি ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা বিপ্লবের ‘পিঙ্ক ডাক’ শিরোনামে টাঙ্গুয়ার হাওরে তোলা একঝাঁক হাঁসের ছবির জন্য তিনি এ পুরস্কারটি পান।
পেশাদার আলোকচিত্রী মো. ফাহিম আহমেদ রিয়াদের তোলা একটি ছবির গল্প জিতেছে সম্মাননা পুরস্কার। বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে ‘কোভিড-১৯ অ্যান্ড আইসোলেশন ক্রাইসিস’ শিরোনামে তা এ ফটো স্টোরিটির জন্য তিনি সম্পাদকীয় বিভাগে এ পুরস্কার জিতেন।
সূত্র: https://bangla.bdnews24.com/