২০২১ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের পর, দেশটিতে শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়ায় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট গঠিত হয়। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে ছিলেন ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের মালিক রুহুল আমিন ও মালয়েশিয়ার আইটি কোম্পানি বেস্টিনেটের প্রতিষ্ঠাতা আমিনুল ইসলাম।
সরকারি নির্ধারিত খরচ ৭৮,৯৯০ টাকা হলেও, বাস্তবে প্রতিটি কর্মীর কাছ থেকে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রতিজনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ১,৫২,০০০ টাকা ‘চাঁদা’ হিসেবে নেওয়া হয়েছে, যা অবৈধভাবে হুন্ডির মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় পাচার হয়েছে। ২০২২ সালের আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের মে পর্যন্ত প্রায় ৪.৯৪ লাখ কর্মী মালয়েশিয়ায় গেছেন, যার ফলে প্রায় ৭,৫০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ উঠেছে।
এই সিন্ডিকেটে রাজনীতিবিদ, প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ও প্রাক্তন সংসদ সদস্যসহ মোট ২৫ জন এজেন্সি মালিক জড়িত বলে জানা গেছে। এছাড়া, মালয়েশিয়ার সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র তৈরি ও অনুমোদন নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সরকার এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও, এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সিন্ডিকেট ভেঙে না দিলে শ্রমবাজারে স্বচ্ছতা ফিরবে না এবং শ্রমিকদের দুর্ভোগ অব্যাহত থাকবে।