আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখনও বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা হয়নি। তবে বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার তরফপুর ইউনিয়নের ছিটমামুদপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ও টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন জানান, জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী ধানের শীষ প্রতীকে মির্জাপুর আসন থেকে নির্বাচন করবেন। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “আসন্ন নির্বাচনে আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করতে এখন থেকেই মাঠে কাজ শুরু করতে হবে।”
এদিকে জেলা সভাপতির এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিএনপির তৃণমূলের অনেক নেতা-কর্মী বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিভিন্ন পোস্ট দিয়েছেন।
লতিফপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আলী হোসেন রনি, এজে সুজন, কামরুল হাসানসহ কয়েকজন সাংগঠনিক শৃঙ্খলা রক্ষার আহ্বান জানান। কামরুল হাসান প্রশ্ন তোলেন—“জেলা সভাপতি কি বিএনপির প্রার্থী মনোনীত করতে পারেন?”
বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম লিখেছেন, “একটি দোয়া মাহফিলে প্রার্থী ঘোষণা করা কতটা যুক্তিযুক্ত? দলের চেয়ারপারসন ও স্থায়ী কমিটি থাকতেও জেলা সভাপতি কীভাবে মনোনয়ন ঘোষণা করেন?”
এদিকে মির্জাপুর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান শপথ জেলা সভাপতির বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তার পদত্যাগ দাবি করেন।