মির্জাপুরে মিথ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মিল্টনের বড় ভাই বাঁশতৈল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজহারুল ইসলাম

মির্জাপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আতিকুর রহমান মিল্টনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

শনিবার বেলা ১২টায় মির্জাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

বাঁশতৈল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান মিল্টনের বড় ভাই মো. আজহারুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

এসময় চেয়ারম্যান মিল্টনের স্ত্রী; পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া শিশু কন্যা অহনা; ছোট বোন লিপি ইমরান; বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম আরজু মিয়া; উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মো. শামীম আল মামুনসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, ২০১২ সালের ১৭ জুলাই রাতে গাজীপুরের ভোগড়া নামক স্থানে ডাক্তার এ. এন, এম মনিরুল হুদা রুপমের গাড়ি থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ২১ জুলাই রুপমের বাবা আব্দুস সামাদ বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় রুপমের গাড়ি চালক শিপন, ডাক্তার আতিকুর রহমান চৌধুরী ওরফে নোমান, ডাক্তার আরিফ ও সুজনকে আসামী করে মামলা করেন।

মামলাটি গাজীপুরের গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ হাসান তদন্ত করে ২০১৬ সালের ৪ মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

পরবর্তীতে মামলার বাদী ওই তদন্তের ওপর নারাজি দেন। পরে আদালত গাজীপুরের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে পুণ:তদন্তের নির্দেশ দেন।

পিবিআই এর উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোশারফ হোসেন তদন্ত সাপেক্ষে ২০১৮ সালের ১৮ মার্চ মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান মিল্টনকে আসামী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেন।

পরে আতিকুর রহমান মিল্টনকে পলাতক দেখিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

ওই প্রতিবেদনের উপরও বাদিপক্ষ আদালতে নারাজি দেন। আদালতের বিচারক পরে গাজীপুরের সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

সিআইডির পরিদর্শক মো. আলাউর রহমান তদন্ত সাপেক্ষে গত বছরের ১৫ জুলাই আতিকুর রহমান মিল্টনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন।

মিল্টন গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর গাজীপুর আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠান।

সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের বক্তব্য –

সংবাদ সম্মেলনে মিল্টনের বড় ভাই বাঁশতৈল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজহারুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার ভাই মিল্টন মির্জাপুর সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদের সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক; মির্জাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক ছিলেন।

বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য।

২০১৬ সালে ইউপি নির্বাচনে মিল্টন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সে একজন জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি।

একটি মহল আতিকুর রহমান মিল্টনের সুনাম ও জনপ্রিয়তা ক্ষুন্ন করতে ডাক্তার রুপম হত্যা মামলায় পরিকল্পিতভাবে আসামী করেছেন বলে উল্লেখ করেন।

মিল্টন ইউনিয়ন পরিষদের দৈনন্দিন কাজ, উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা ও আইনশৃঙ্খলা সভায় নিয়মিত উপস্থিত থাকলেও পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে তাকে পলাতক আসামী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান।

তারা মিল্টনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক এই মামলা প্রত্যাহার দাবি করেন। সম্পাদনা – অলক কুমার