মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার আসামি “মুক্তি”র জামিন নামঞ্জুর

আদালত প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন আবেদন আবারও নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

এ নিয়ে ১৪তম বারের মতো তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।

সহিদুর রহমান খান মুক্তি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাংসদ আতাউর রহমান খানের ছেলে এবং সাবেক সাংসদ আমানুর রহমান খান রানার ভাই।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পাবলিক প্রসিকিউটর) এস আকবর খান জানান, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে মুক্তির আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন।

তারা যে কোনো শর্তে মুক্তির জামিন প্রার্থনা করেন। তবে শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মাসুদ পারভেজ আবেদনটি নামঞ্জুর করেন।

প্রকাশ, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আ’লীগ নেতা ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া বাসার কাছ থেকে উদ্ধার হয়।

ফারুক হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পর দীর্ঘ ছয় বছর পলাতক ছিলেন মুক্তি।

গত বছরের ২ ডিসেম্বর তিনি টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন; এরপর দফায় দফায় তার পক্ষে আইনজীবীরা ১৪ বার জামিনের আবেদন করেছেন।

তবে প্রতিবারই ওই আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

ফারুক হত্যাকাণ্ডে আমানুর রহমান খান রানা, সহিদুর রহমান খান মুক্তি’সহ তদের অপর দুই ভাই ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পারও জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে।

এরপরই তারা সবাই আত্মগোপনে চলে যান। এর মধ্যে আমানুর রহমান খান রানা ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আত্মসমর্পণ করেন।

প্রায় তিন বছর হাজতবাসের পর তিনি জামিনে মুক্তি পান; তবে অপর দুই ভাই কাকন ও বাপ্পা এখনও পলাতক রয়েছেন। সম্পাদনা – অলক কুমার