মোটরসাইকেলের নিবন্ধন ফি কমিয়েছে সরকার

ডেস্ক নিউজ : মোটরসাইকেলের নিবন্ধন ফি কমিয়ে প্রায় অর্ধেক করেছে সরকার।

মঙ্গলবার সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি ১০০ সিসি বা এর কম হলে বিদ্যমান রেজিস্ট্রেশন ফি চার হাজার ২০০ টাকার জায়গায় দুই হাজার টাকা হবে।

আর মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি ১০০ সিসির উপরে হলে বিদ্যমান রেজিস্ট্রেশন ফি ৫ হাজার ৬০০ টাকার জায়গায় তিন হাজার টাকা হবে।

গত ১৬ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সভাপতিত্বে ‘বাংলাদেশ-জাপান যৌথ সরকারি-বেসরকারি অর্থনৈতিক সংলাপ’ অনুষ্ঠিত হয়।

ওই বৈঠকে মোটরসাইকেলের নিবন্ধন ফি বাজার মূল্যের ১০ শতাংশের মধ্যে রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) মতামত দিতে বলা হয়।

১০০ সিসি ক্ষমতার মোটরসাইকেলের নিবন্ধন ফি মোট দামের ৮ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ১০০ সিসির বেশি মোটরসাইকেলের নিবন্ধন ফি মোট মূল্যের ৪ দশমিক ৯ শতাংশের মধ্যে রাখার প্রস্তাব দেয় বিআরটিএ।

মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনের ক্ষমতা এবং গড় বাজার মূল্যের ওপর ভিত্তি করে এই ফি প্রস্তাব করা হয়।

১০০ সিসি পর্যন্ত ও ১০০ সিসির বেশি মোটরসাইকেলের গড় বাজার মূল্য ধরা হয়েছে যথাক্রমে ৯০ হাজার এবং দুই লাখ টাকা।

সড়ক কর, পরিদর্শন ফি এবং নম্বর প্লেট, ডিআরসি, সম্পূরক কর কমিয়ে ১০০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল ৭ হাজার ৫২৯ টাকা এবং ১০০ সিসির বেশি ক্ষমতার মোটরসাইকেলের জন্য নিবন্ধন ফি ৯ হাজার ৮৫২ টাকা করার প্রস্তাব করে বিআরটিএ।

প্রস্তাবে ১০০ সিসির নিচে মোটরসাইকেলের মূল নিবন্ধন ফি ৪২০০ টাকার পরিবর্তে ২০০০ টাকা এবং ১০০ সিসির বেশি ক্ষমতার মোটরসাইকেলের মূল নিবন্ধন ফি ৫৬০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩০০০ হাজার টাকার সুপারিশ করা হয়।

গত ১৫ অক্টোবর সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ প্রস্তাবটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। সম্প্রতি এ প্রস্তাবে সম্মতি দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়।

বিআরটিএ’র হিসাবে, ২০২০ সাল নাগাদ দেশে নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা ৩১ লাখ ২৫ হাজার ৬৫৩টি।

এরমধ্যে ২০২০ সালেই ৩ লাখ ১১ হাজার ১৬টি মোটরসাইকেলের নিবন্ধন হয়েছে।

২০১০ সালে নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা ছিল ৭ লাখ ৫৫ হাজার ৫১৪টি। সূত্র – যুগান্তর; সম্পাদনা – অলক কুমার