ভূঞাপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে মহাষ্টমীতে হাজার হাজার পুণ্যার্থীদের পদচারণায় মুখরিত স্নান ঘাট।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ভোর থেকে উপজেলার খানুরবাড়ি সরাতলা কালীমন্দির সংলগ্ন যমুনা নদীতে স্নান শুরু হয়।
স্নান ঘাটের পাশেই মেলা শুরু হয়েছে। মেলায় বাচ্চাদের খেলনাসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য সামগ্রীর পসরা নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা।
আরো পড়ুন – এমপির ডিও লেটারে মহিলা কলেজের সভাপতি হয়েছিল সিরিয়াল রেপিস্ট বড় মনির
পাঁপমোচন এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় পুণ্যার্থীরা যমুনা নদীতে স্নান করতে আসেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পুণ্যার্থীরা স্নান করতে যমুনা ঘাটে আসে।
এসময় গঙ্গা পূজা অর্চনা করেন ভক্তরা।
চৈত্রমাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে এই পুণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অসংখ্য পুণ্যার্থী এখানে পুণ্যস্নানের জন্য আসেন।
স্নান করতে আসা পলাশ চন্দ্র সরকার বলেন, যমুনায় স্নান তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে। এখানে পুণ্যার্থীরা স্নান করছে তাদের মনোবাসনা পূরণের জন্য।
গঙ্গা স্নান করতে আসা গোবিন্দ সরকার বলেন, নদীর পাড়ে নতুন জলে গঙ্গা স্নান করেছি ও পূজা দিয়েছি।
মহা অষ্টমীতে এখানে স্থানীয় লোকজনসহ দূর-দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ মেলা দেখতে আসেন।
ঘাটে পূজা করা পুরোহিত পিন্টু গোস্বামী জানান, পাঁপমোচনের আশায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যমুনা নদীতে স্নান করতে এসেছেন।
বিভিন্ন জায়গা থেকে পুণ্যার্থীরা আসছে স্নান করতে। হাজার হাজার পুণ্যার্থীর ঢল নেমেছে নদীতে।
অষ্টমী স্নান উৎসব আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ ঘোষ জানান, ভোর থেকে পুণ্যার্থীরা স্নান ঘাটে এসেছেন।
আগত পুণ্যার্থীদের জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কয়েক হাজার ভক্তদের জন্য প্রসাদের ব্যবস্থা করা হয়।
আরো পড়ুন – বড়মনিরকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি, চূড়ান্ত অব্যাহতির সুপারিশ
স্নানোৎসবে আগত ভক্তদের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করেছেন।
ভুঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্ল্যাহ বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্নান ঘাটে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
জেলা পুলিশের রিজার্ভ ফোর্স, থানা পুলিশ ও নৌ পুলিশের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা কাজে নিয়োজিত রয়েছে।