নাটোরের বড়াইগ্রামে নাজমুল হক (৩৬) নামের এক যুবকের চোখ তুলে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রবিবার উপজেলার বাজিতপুর উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার দিবাগত রাতে এই ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে বড়াইগ্রাম থানায় মামলা করেছে ভুক্তভোগী নাজমুল হক।
আসামিরা হলেন—উপজেলার বাজিতপুর উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে হাফিজুল ইসলাম (৪৫), হাফিজুল ইসলামের ছেলে তৌফিকুল ইসলাম তুষার (২২), স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তারমিনা (৩৮)। নাজমুল হক বলেন, অভিযুক্তরা আমার প্রতিবেশী। বিভিন্নভাবে তারা আমার পরিবারকে নির্যাতন করে। তাদের কলার গাছের পাতা এসে আমার বাড়ির উঠান অন্ধকার করে রাখে।
রবিবার সকালে সেই কলা গাছে পাতা কেটে পরিষ্কার করতেছিলাম। এ সময় হাফিজুল ইসলামের ছেলে ও তার স্ত্রী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে এসে গালাগালি করতে থাকে। আমি গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে আমাকে মারপিট শুরু করে। আমি মাটিতে পড়ে গেলে তারা আমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা ও চোখ তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। আমার স্ত্রী উদ্ধার করতে আসলে তাকেও মারপিট ও শ্লীলতাহানি করে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি আরো বলেন, আমার চোখের নিচে ছয়টি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
চোখে ঝাপসা দেখছি। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যেতে বলেছে চিকিৎসক। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডলি রানী বলেন, তার চোখের নিচে ছয়টি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে অভিযুক্ত হাফিজুলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহাবুবুর রহমান বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।