ডেস্ক নিউজ : আমাদের পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের অন্যতম ইন্দ্রিয় হল চোখ। অথচ, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই চোখের উপযুক্ত যত্ন নিতে আমরা ভুলে যাই।
চোখের নানা খুঁটিনাটি সমস্যাকে আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তেমন গুরুত্ব দিই না।
বর্তমান যুগে বাড়তে থাকা দূষণ, কাজের পরিবর্তিত ধরন, পরিবেশগত পরিবর্তন- এ রকম নানা কারণে চোখের নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়।
অনেকটা সময় কম্পিউটার, টিভি বা মোবাইলফোন ব্যবহারের পর চোখের কিনারে হালকা চিনচিনে ব্যথা অনুভূত হওয়া, চোখ চুলকানোর ফলে চোখ ব্যথা হয়ে যাওয়া এবং নানা ধরণের চোখের ছোটোখাটো সমস্যা নিয়ে অনেকেই ভুগে থাকেন।
কিন্তু এই সব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া এবং দৃষ্টিশক্তির সুরক্ষা খুব সহজেই করা সম্ভব।
খুবই সহজে মাত্র ৪টি ছোট্ট ব্যায়াম চোখের এবং দৃষ্টিশক্তির সুস্থতা নিশ্চিত করতে পারে। এবার শিখে নেওয়া যাক চোখের সেই ৪টি সহজ ব্যায়াম।
হাতের তালুর ব্যবহার :
প্রায় ১০-১৫ মিনিট দু’হাতের তালু একটির সঙ্গে অপরটি ঘষে নিন। এতে হাতের তালুতে যে হালকা উষ্ণতা সৃষ্টি হবে; তা নিয়ে হাত দুটো চোখ বন্ধ করে চোখের উপরে রাখুন।
চোখের মনির অংশে জোরে চাপ দেবেন না। শুধু আলতো করে হাত রাখুন চোখের উপর। এভাবে দিনে ৩-৪ বার করবেন।
ঘন ঘন চোখের পাতা ফেলা :
সাধারণত প্রতি ৩-৪ সেকেন্ড পরপর চোখের পাতা ফেলা চোখের ছোটোখাটো সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
বিশেষ করে যখন আমরা একটানা কম্পিউটার বা টিভির দিকে তাকিয়ে থাকি তখন ঘন ঘন চোখের পাতা ফেলা, চোখের জন্য ভাল।
এছাড়াও টানা ১ মিনিট ঘন ঘন চোখের পাতা ফেলা, একটি ব্যায়ামের মতো কাজ করে। এতে দৃষ্টিশক্তি ভাল থাকে।
দূরের কোনও বস্তুর প্রতি দৃষ্টি নিবন্ধন করা :
প্রায় ৬ থেকে ১০ মিটার দুরের একটি নির্দিষ্ট বস্তুর দিকে এক দৃষ্টিতে মাথা বেশি না নরিয়ে খানিকক্ষণ তাকিয়ে থাকার চেষ্টা করুন।
এটিও চোখের একটি ভাল ব্যায়াম। এতে দৃষ্টিশক্তির প্রখরতা বৃদ্ধি পায়।
এছাড়াও নিজের হাত মুঠ করে বুড়ো আঙুল সোজা করে তুলে ধরে সামনের দিকে ছড়িয়ে আঙুলের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকার ব্যায়ামটিও করতে পারেন।
চোখ ঘোরানো :
চোখের সামনে একটি বড় গোলাকৃতি কল্পনা করে নিন; এরপর এই আকৃতি অনুযায়ী চোখ ঘোরাতে থাকুন, ঘড়ির কাঁটার অভিমুখে এবং ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে ৪ বার করে।
এরপর ২ সেকেন্ড চোখ বন্ধ করে রাখুন; বড় করে শ্বাস নিন। দিনে ২ বার এই ব্যায়াম করলে চোখের পেশি ভাল থাকবে।
তাই, এই চারটি ব্যায়াম নিয়মিত করুন আর সুস্থ রাখুন আমাদের পঞ্চ ইন্দ্রিয়র অন্যতম ইন্দ্রিয়টিকে। সম্পাদনা – অলক কুমার