রাত পোহালেই মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৬ সালের ১৬ নভেম্বর ঢাকার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন এবং টাঙ্গাইলের সন্তোষে দাফন করা হয়। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সন্তোষে তার পরিবার, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মুরিদান, ভক্ত, রাজনীতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করবে।
মওলানা ভাসানী অধিকারবঞ্চিত, অবহেলিত ও মেহনতি মানুষের অধিকার রক্ষায় আজীবন সংগ্রাম করেছেন। জাতীয় সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতেন। তিনি সবসময় ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছেন। ক্ষমতার কাছে থাকলেও ক্ষমতার মোহ তাকে কখনো আবিষ্ট করেনি। তার সাধারণ জীবনযাপন দেশ ও জনগণের প্রতি গভীর ভালোবাসার পরিচায়ক।
১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মওলানা ভাসানী। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও জীবনের বড় অংশ কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন তিনি। তিনি তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন এবং ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনের প্রধান নেতাদের একজন ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতিও ছিলেন।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকালে তার মাজারে বিএনপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে। এছাড়া মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সাত দিনব্যাপী ‘ভাসানী মেলা’ চলমান রয়েছে।











