ঢাকার উত্তরায় নিহত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী রিপন মিয়ার মরদেহ উত্তোলনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মামলার বাদী ও নিহতের ভাই আকতার হোসেনের বিরুদ্ধে।
আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বকশীগঞ্জে মরদেহ উত্তোলনে গেলে বাদী পক্ষের বাধায় তা সম্ভব হয়নি। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমা উল হুসনা ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই খাইরুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে ফিরে আসেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ আগস্ট রিপন মিয়া গুরুতর আহত অবস্থায় উত্তরায় পড়ে ছিলেন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ময়নাতদন্ত ছাড়াই ৬ আগস্ট তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। ঘটনার ২০ দিন পর রিপনের ভাই আকতার হোসেন পুলিশের গুলিতে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা করেন, যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
তবে মামলার পর থেকেই বাদীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠতে থাকে। রিপনের স্ত্রী খাদিজা বেগম সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেন, মামলাটি করা হয়েছে অর্থ আদায়ের উদ্দেশ্যে এবং নিরীহ ব্যক্তিদের হয়রানি করতে।
স্থানীয় কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রিপনের মৃত্যু ট্রাকচাপায় হয়েছিল, গুলিতে নয়। তারা বলেন, মরদেহ উত্তোলনের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন জরুরি। অথচ আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও মরদেহ উত্তোলনে বাধা দিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি করেছে বাদীপক্ষ।
এ বিষয়ে আদালতের পরবর্তী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তদন্ত এগোবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।