রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৯ মে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচার্স ক্লাবে ছাত্রদলের আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, প্রক্টর ও ছাত্র পরামর্শক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান চলাকালে দুই গ্রুপের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়, যা পরবর্তীতে হাতাহাতিতে রূপ নেয়।
প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আহমেদুল কবির তাপস ও সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের নেতৃত্বাধীন একটি গ্রুপ অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত ছিল। কিছুক্ষণ পর সেখানে আসেন সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সামাদ, সিনিয়র সহসভাপতি মো. তারিফুল ইসলাম তারিফ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন গ্রুপের নেতাকর্মীরা। তাদের উপস্থিতিতেই শুরু হয় বাকবিতণ্ডা ও পরে সংঘর্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুরোধে সামাদ-তারিফ-ফরহাদ গ্রুপ অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করলেও রাত ৯টা ১৫ মিনিটে তাপস-আলমগীর গ্রুপ একটি মিছিল বের করে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় গেটে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় ক্যাম্পাসে বিকট শব্দে কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
অন্যদিকে, অপর গ্রুপটি অবস্থান নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তাদের হাতে লাঠি ও রড সদৃশ বস্তু দেখা গেছে।
ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আরফান আলী এবং সহকারী প্রক্টরগণ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে অধ্যাপক আরফান আলী বলেন, “ছাত্রদলের একটি গ্রুপ অন্য গ্রুপকে অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বাধা দেয়ায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। তবে একটি গ্রুপ বহিরাগতদের নিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে—এমন খবর পাওয়ার পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটগুলো বন্ধ করে দিতে বলা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।”
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনার তদন্তে মাঠে নেমেছে বলে জানা গেছে।