টাঙ্গাইলের সখীপুরে সংরক্ষিত শালবনের ১৩ একর জমি উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। মঙ্গলবার (২৪ জুন) পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সানবান্ধা এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। জমি উদ্ধারের পর সেখানে প্রায় ১১ হাজার বনজ, ফলদ ও শাল-গজারির সহযোগী গাছের চারা রোপণ করা হয়।
অভিযানে অংশ নেন সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল রনী, টাঙ্গাইল বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক আবু সালেহ, সখীপুর থানার ওসি আবুল কালাম ভূঞা ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, উদ্ধার করা জমির বেশিরভাগই ব্যক্তি মালিকানাধীন, যেখানে কলাবাগান রয়েছে। তারা অভিযোগ করেন, কোনোরকম নোটিশ ছাড়াই প্রশাসন ও বন বিভাগ গিয়ে কলাগাছের ফাঁকে গাছের চারা রোপণ করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মাহমুদ আলী বলেন, “আমাদের জমির খাজনা ২০০৫ সাল পর্যন্ত পরিশোধ করা হয়েছে। অথচ আমাদের কোনো কিছু না জানিয়ে হঠাৎ করে চারা রোপণ করা হলো।”
বন বিভাগের সখীপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা এমরান আলী বলেন, “এই জমি সংরক্ষিত বনভূমির অংশ। আগে এখানে গজারি বন ছিল, যা দখল করে স্থানীয়রা কলাবাগান করেছে। পর্যায়ক্রমে আরও বনভূমি উদ্ধার করা হবে।”
ইউএনও আবদুল্লাহ আল রনী জানান, “ভুক্তভোগীদের অভিযোগ শোনা হয়েছে। কলাবাগানগুলোর ক্ষতি না করেই চারা রোপণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে তাদের পুনর্বাসনের বিষয়েও চিন্তা করা হবে।”