নিজস্ব প্রতিবেদক : রেলপথ মন্ত্রী নূরল ইসলাম সুজন বলেন, সেতুটি দুই ভাগে নির্মাণ কাজ হবে। একটি টাঙ্গাইল অংশে, অন্যটি সিরাজগঞ্জ অংশে।
১শ’ কিলোমিটার গতিতে সেতুর ওপর দিয়ে রেল চলাচল করতে পারবে। ফলে দেশে রেলের চাহিদা পূরণ হবে।
আগামী ২০২৪ সালের আগস্টে এই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
জাপানের আর্থিক সহায়তায়-এর নির্মাণ ব্যয় হবে ১৬ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা।
মন্ত্রী বলেন, রেল সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। যাত্রী পরিবহণ করে রেলকে লাভজনক অবস্থায় নেয়া যায়না। তাই লাভের চেয়ে সেবাই প্রাধান্য পায় বেশি।
আর পৃথিবীর কোন দেশের রেলই লাভজনক নয়।
তবে আমরা রেলকে যুগোপযোগী ও আধুনিকায়ন করে যাচ্ছি। আশাকরছি রেল লাভজনক অবস্থায় যাবে।
আজ (২২ নভেম্বর) বিকালে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় যোগদানের আগে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, বিএনপি জামায়াত সরকার রেলখাতকে ধংস করে দিয়ে গেছে।
তাই রেল লোকসান কাটিয়ে লাভের মুখ দেখতে পারছে না বলেও মন্তব্য করেছেন রেলপথ মন্ত্রী নূরল ইসলাম সুজন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা, জেলা আ’লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক।
আরো উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল সদর আসনের এমপি সানোয়ার হোসেন, কালিহাতী আসনের এমপি হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী, গোপালপুর-ভূঞাপুর আসনের এমপি ছোট মনির, জেলা প্রশাসক আতাউল গনি, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়সহ অন্যান্যরা।
পরে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সসিং মাধ্যমে আগামী ২৯ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতু ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।