স্থানীয় সরকারকে সংসদীয় আদলে পরিচালনার সুপারিশ করেছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। গতকাল শনিবার কমিশনের প্রকাশিত প্রাথমিক রিপোর্টে এসব সুপারিশ করা হয়েছে। জাতীয় সংসদে যেমন নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা থাকেন সব সংসদীয় কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু, গ্রাম ও নগর নির্বিশেষে সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সদস্য বা কাউন্সিলররা হবেন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সব সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রধান নিয়ামক।
সুপারিশে বলা হয়েছে, গ্রাম-নগর নির্বিশেষে প্রতিটি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সংগঠন কাঠামো দুটি প্রধান অংশে বিভক্ত থাকবে, (১) বিধানিক অংশ এবং (২) নির্বাহী অংশ।
বিধানিক অংশের প্রধান হবেন ‘সভাধ্যক্ষ’ (জাতীয় সংসদের স্পিকারের অনুরূপ) এবং নির্বাহী অংশের প্রধান হবেন ‘চেয়ারম্যান’ বা ‘মেয়র’। তিনি পরিষদ বা কাউন্সিল নেতা হিসেবেও থাকবেন।
সভাধ্যক্ষ জাতীয় সংসদের স্পিকারের অনুরূপ দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরামর্শক্রমে পরিষদের সভা-অধিবেশন আহবান করবেন।
সব সদস্য-সদস্যা যাতে তাদের মতামত দিতে পারেন, কোনো বিশেষ বিষয়ে বিতর্কে অংশ নিতে পারেন, সেসব বিষয় তিনি নিশ্চিত করবেন। তেমনিভাবে সব স্থায়ী কমিটি গঠন ও সভা নিয়মিত অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। সভাধ্যক্ষকে সহায়তা করবেন একজন পূর্ণকালীন ‘সচিব’ এবং পাঁচ সদস্যের একটি সচিবালয়। সাধারণ নির্বাচনের পর নির্বাচন কমিশন কর্তৃক গেজেট প্রকাশের পর সদস্যরা আইনে নির্ধারিত একটি শপথনামা উপস্থিত একটি ভোটার সমাবেশে নিজ নিজ ধর্মগ্রন্থে হাত রেখে একে একে উচ্চৈঃস্বরে পাঠ করে সেটিতে স্বাক্ষর করবেন এবং সদস্যদের জন্য রক্ষিত আসনে আসন গ্রহণ করবেন। পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট সাংবিধানিক মর্যাদাসম্পন্ন একটি স্থায়ী ‘স্থানীয় সরকার কমিশন’ গঠন করার সুপারিশ করা হয়।