চিকিৎসকরা বারবার সতর্ক করছেন, স্থবির জীবনধারা স্বাস্থ্যহানির অন্যতম কারণ। সারাদিন বসে কাজ করলে ওজন বেড়ে যায়, এবং স্থূলতা ডেকে আনে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের রোগসহ ভয়ঙ্কর অসুখ। এ তথ্য জানার পর অনেকে হঠাৎ ফিটনেসে ঝুঁকছেন।
যিনি আগে চলাফেরাতেও অনীহা দেখাতেন, তিনিই হঠাৎ জিমে ঘন্টা কাটাচ্ছেন বা দৌড়াতে শুরু করছেন। কিন্তু এই হঠাৎ ব্যায়ামেই ঘটছে বিপদ। সম্প্রতি নিয়মিত শোনা যাচ্ছে, মর্নিং ওয়াক, জিম বা খেলাধুলার সময় হঠাৎ মৃত্যু। বিশেষজ্ঞদের মতে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দায়ী হার্ট অ্যাটাক বা সাডেন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট।
কেন ঘটে হঠাৎ মৃত্যু?
চিকিৎসকদের মতে, হঠাৎ মৃত্যুতে প্রায় ৯০% ক্ষেত্রেই দায়ী হৃদরোগ। বাকি ক্ষেত্রে হতে পারে ব্রেন অ্যানিউরিজমের রাপচার, স্ট্রোক বা খিঁচুনি।
বয়সভেদে হার্টের ঝুঁকি:
-
৪০ বছরের কম: হার্টের ইলেকট্রিক্যাল ডিসটার্বেন্স বা জন্মগত হাইপারট্রফিক কার্ডিওমায়োপ্যাথি অনিচ্ছাকৃত ঝুঁকির কারণ।
-
৪০ বছরের বেশি: সাধারণত করোনারি আর্টারি ডিজিজ দায়ী। বাইরে থেকে সুস্থ মনে হলেও ধমনীতে জমে থাকা ব্লক অতিরিক্ত ব্যায়াম বা মানসিক চাপের সময় ফেটে যেতে পারে।
বিপদের হাত থেকে বাঁচার উপায়
-
হঠাৎ দৌড়ঝাঁপ বা জিম শুরু করার আগে ডাক্তার দেখান।
-
হার্টের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান: ইসিজি, ইকো, ব্লাড প্রেশার, থাইরয়েড, ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল টেস্ট।
-
পরিবারের হৃদরোগ ইতিহাস থাকলে বিশেষ সতর্কতা নিন।
-
স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস থাকলে ডাক্তারি পরামর্শ নিয়ে ব্যায়ামের ধরন বেছে নিন।
ব্যায়াম করবেন কিভাবে?
হালকা হাঁটা বা যোগব্যায়াম যেকোনো বয়সেই উপকারী। ৩০–৪০ বছর বয়সে হঠাৎ জিমে যোগ দেওয়ার আগে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। প্রথম দিন থেকে অতিরিক্ত পরিশ্রম করবেন না, শরীরকে ধীরে ধীরে অভ্যস্ত করুন। নিজের শরীর বোঝাই সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার মূল চাবিকাঠি।