সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি গ্রামের শামীম হোসেন পেশায় কখনো ডিপ টিউবওয়েল মিস্ত্রি, আবার কখনো ইটভাটা শ্রমিক। তবে তার কর্মজীবনের চেয়ে বিয়ের সংখ্যা ও আচরণই এখন আলোচনার বিষয়। এ পর্যন্ত তিনি ৫টি বিয়ে করেছেন। কিন্তু কোনো স্ত্রী-সন্তানের খোঁজখবর না রেখে প্রতিবার ভিন্ন এলাকায় গিয়ে নতুন বিয়েতে জড়ান তিনি।
চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি তার চতুর্থ স্ত্রী আশামনি স্থানীয় একটি ক্লিনিকে দ্বিতীয় সন্তান প্রসব করেন। কিন্তু অর্থের অভাবে শিশুর চিকিৎসা ও দুধ কিনতে না পেরে ১৪ দিন বয়সী কন্যাশিশু খাদিজাকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। শিশুটিকে আশাশুনির তেঁতুলিয়া গ্রামের নিঃসন্তান দম্পতি রবিউল ও কাজল দত্তক নেন।
স্থানীয়দের দাবি, শুক্রবার রাতে শামীম তার পঞ্চম স্ত্রী হোসনে আরাকে নিয়ে অন্যত্র অবস্থান করছিলেন। খবর পেয়ে সেখানে যান আশামনি। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির একপর্যায়ে প্রকাশ্যে আসে নবজাতক বিক্রির ঘটনা।
আশামনি জানান, “আমি কেবল সন্তানকে বাঁচানোর জন্য এই কাজ করেছি। ওষুধ ও দুধ কেনার সামর্থ্য ছিল না।” অপরদিকে শিশুটি গ্রহণকারী কাজল বলেন, “আমরা সাক্ষীর উপস্থিতিতে শর্তসাপেক্ষে টাকা দিয়ে শিশুটিকে নিয়েছি। জন্মনিবন্ধন ও টিকা কার্ডে আমাদের নাম ব্যবহার করেছি।”
আশাশুনি থানার ওসি সামছুল আরেফিন বলেন, “আমি সম্প্রতি যোগ দিয়েছি। বিষয়টি সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত জানি না।”
স্থানীয়দের অনুসন্ধানে জানা যায়, শামীমের বিবাহজীবন নানা বিতর্কে ভরা। প্রথম বিয়ে টেকেনি, দ্বিতীয়বার বাড়ির মালিকের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করেন, তৃতীয়বার চাচাতো বোনকে বিয়ে করে আবার অন্যত্র বিয়ে করেন। বর্তমানে তার চতুর্থ স্ত্রী আশামনি ও পঞ্চম স্ত্রী হোসনে আরাকে ঘিরেই নতুন বিতর্ক চলছে।