“নাগরপুরে ৮৩ বছর বয়সেও বয়স্ক ভাতার কার্ড পাননি শান্ত রাণী” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের ২ দিনের ব্যবধানে বয়স্ক ভাতার কার্ড পেলেন সেই বৃদ্ধা। উপজেলার মোকনা ইউনিয়নের আগদিঘুলিয়ার শান্ত রাণী মন্ডল ৮৩ বছর বয়সেও কার্ড না পাওয়ায় এ নিয়ে বিভিন্ন স্থানীয়, জাতীয় ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হলে প্রশাসনের নজরে আসে।
মঙ্গলবার দুপুরে নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে শান্ত রাণী মন্ডলের হাতে বয়স্ক ভাতার কার্ড তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম।
ভাতার কার্ড হাতে পেয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের ধন্যবাদ দিয়ে শান্ত রাণী মন্ডল বলেন, করোনার এই দূর্যোগের সময় ভাতার কার্ড আমার সংসারে অন্ন যোগানের ব্যবস্থা করল। স্বামী মারা যাওয়ার পর আমি ছোট ছেলের কাছে থাকি। আমার অন্য ছেলেমেয়েরা কেউ আমারে দেখে না। একটু খেয়ে পড়ে চলার জন্য ভাতার কার্ড আমাকে সহযোগিতা করবে। তিনি এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও তার অন্তর থেকে আশীর্বাদ করেন।
শাশুড়ীর সাথে ভাতার কার্ড নিতে এসে শান্ত রাণীর ছেলের বউ মায়া রানী মন্ডল (৪০) বলেন, করোনায় উপার্জন প্রায় বন্ধ। দিনপাত না চলায় ধার-দেনা করে খুব কষ্টে চলতেছি তার উপর আবার নদীর ভাঙন মরার ওপর খারার ঘা হয়ে দাড়িয়েছে। এর মধ্যে অসুস্থ শাশুড়ীকে ওষুধ খাওয়ানো লাগে। বয়স হয়ে যাওয়ায় শাশুড়ী প্রায় সব সময়ই অসুস্থ থাকে। বয়স্ক ভাতার কার্ডটা পেয়ে আমাদের খুব উপকার হলো।
নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, বয়স্ক ভাতার কার্ড করার সময় আমাদের অগোচরে হয়ত কারও নাম বাদ পড়ে যায়। আমরা সব সময় চেষ্টা করি প্রকৃত বয়স্করা যেন ভাতার আওতায় আসে। আমরা বয়স্ক শান্ত রাণীর বিষয়টি পত্র পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরে তার অবস্থা বিবেচনা করে দ্রুত উপজেলা সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে তার বয়স্ক ভাতার কার্ডের ব্যবস্থা করেছি।
বয়স্ক ভাতার কার্ড বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সৌরভ তালুকদার, খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক উজ্জ্বল হোসেন মোল্লা, প্রেসক্লাবের সভাপতি আক্তারুজ্জামান বকুল প্রমুখ।