বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। শরীরের যেকোনো অংশে এই প্রাণঘাতী রোগ আক্রমণ করতে পারে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অন্যান্য অনেক ক্যান্সারের তুলনায় অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের আক্রান্তের হার এখন বেশি।
চিকিৎসকদের মতে, অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত করা কঠিন। উপসর্গগুলো স্পষ্ট না হওয়ায় রোগ ছড়িয়ে পড়ার পরই তা ধরা পড়ে। তাই সময় থাকতেই সতর্ক হওয়া জরুরি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিচের উপসর্গগুলো দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের প্রধান উপসর্গ
-
পেটের উপরিভাগে তীব্র ব্যথা: খাওয়ার পর বা শোওয়ার সময় ব্যথা বেড়ে যায় এবং ধীরে ধীরে তা পিঠ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।
-
ঘন ঘন জন্ডিস: চোখ ও চামড়া হলদে হয়ে যাওয়া এবং বারবার জন্ডিসে আক্রান্ত হওয়া সতর্ক সংকেত।
-
হজমের সমস্যা: বদহজম, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য বা দীর্ঘদিনের ক্লান্তি এই ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
-
ওষুধেও কাজ না করা বদহজম: নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার পরও যদি সমস্যা থেকে যায়, তবে তা ঝুঁকির ইঙ্গিত।
-
ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিসের মতো ব্যথা: পেটের ব্যথা বুক বা পিঠে ছড়িয়ে পড়তে পারে, অনেক সময় এর সঙ্গে বমিও হতে পারে।
কী করবেন?
এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সময়মতো রোগ শনাক্ত হলে চিকিৎসা কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও সচেতন জীবনধারা এই প্রাণঘাতী ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা রাখে।