নিজস্ব প্রতিবেদক : বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদের ছবি অংকনে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করায় এক শিক্ষককে সকল শিক্ষকের সামনে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ।
আর এই ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইল প্রি-ক্যাডেট স্কুল নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
জানা যায়, গত ২০ আগস্ট বিকালে টাঙ্গাইল প্রি ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষক শহীদ আবু সাঈদের ছবি আর্ট করাতে ছাত্রদের সহযোগিতা করেন।
আরো পড়ুন – টাঙ্গাইলে ভিপি নূরের উপর হামলা – প্রায় তিন বছর পর মামলা
এরপরই শিক্ষক শামীমকে তাৎক্ষণিক স্কুলে ডেকে এনে সবার সামনে মাফ চাইতে বাধ্য করান প্রি ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষ শাহানা বেগম।
ছাত্র-জনতার ‘গণঅভ্যুত্থানে’ শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে দেওয়ালে দেওয়ালে লিখছেন নানা স্লোগান, আঁকছেন গ্রাফিতি।
এসবের মধ্য দিয়ে সমাজের বৈষম্য নিরসন এবং আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ করছেন।
এ দায়িত্ব পালনকালে তারা সহিংসতা, দুর্নীতি ও অপকর্মমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার শপথ করেন।
পাশাপাশি মাতৃভূমি রক্ষার অঙ্গীকার করেন। কিন্তু টাঙ্গাইলে প্রি ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষ স্বৈরাচারী দোষরের ভূমিকা পালন করে।
গ্রাফিক্স শিক্ষক শামিম জানান, চলে এসো নতুন ভোরে এই ছবিটি দেয়ালে আর্ট করায় স্কুলের অধ্যক্ষ আমার রং তুলি কেড়ে নেয়।
আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করে এবং সবার সামনে মাফ চাইতে বাধ্য করায়।
এরপর বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ শাহান বেগম বিদ্যালয়ের মেয়ে শিক্ষাথীদের হিজাব পড়তে নিষেধ করেন।
আরো পড়ুন – টাঙ্গাইলে স্কুলছাত্র হত্যা মামলায় এমপি-মন্ত্রীসহ আ’লীগের ৫৬ নেতা আসামী
তার প্রতিবাদে ১ সেপ্টেম্বর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও নানা অনিয়ম -দুর্নীতির অভিযোগে টাঙ্গাইল টাঙ্গাইল প্রি ক্যাডেট স্কুলের অদক্ষের পদত্যাগ বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
এছাড়াও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগও করেন তারা।
তাদের দাবি দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষের পদত্যাগ করে স্কুলে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।
এই বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের টাঙ্গাইল জেলার একজন সমন্বয়ক মো. কামরুল ইসলাম এই বিষয়টাকে শহীদদের রক্তের সাথে গাদ্দারী সাথে তুলনা করেছেন।
এসময় তিনি বলেন, এই বিষয়ে একটি অভিযোগ আমরা শুনেছি, তিনি যদি এই ধরনের কাজ করে থাকেন তবে আমি উনাকে জনসমুক্ষে ক্ষমা চাওয়ার অনুরোধ করবো।