বর্তমান যুগে শিশুরা ইন্টারনেটকে মনে করে শুধু মজা করার জায়গা। কেউ হয়তো নতুন বন্ধুর সঙ্গে গেম খেলছে, কেউবা কার্টুন দেখছে। কিন্তু এই নিরীহ মজা কখন যে বিপদের দিকে নিয়ে যাবে, তা অনেকেই বুঝতে পারে না।
শিশুরা কেন অনলাইনে ঝুঁকিতে থাকে:
- 
৮ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুরা এখনও ঠিকভাবে বুঝতে শেখেনি কে সত্যিকারের বন্ধু এবং কে বিপজ্জনক ছদ্মবেশী।
 - 
১৩ থেকে ১৬ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীরা একাকিত্ব, ভালোবাসা বা বোঝার মানুষ খোঁজে, যা তাদের সহজ টার্গেটে পরিণত করে। মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বয়সে শিশুদের অত্যন্ত সাবধানে গাইড করতে হয়।
 
বাবা-মা কী করতে পারেন:
- 
একসঙ্গে খেলা বা কার্টুন দেখা: এতে বাবা-মা সহজেই জানতে পারেন, সন্তান কী দেখছে বা খেলছে।
 - 
গোপনীয়তা বাড়ানো: অ্যাপের সেটিংসে গোপনতা বাড়িয়ে অজানা লোকদের ব্লক করা যায়।
 - 
শক্তিশালী রিপোর্টিং সিস্টেম: শিশু যেন সাহস করে বলতে পারে “আমি অনলাইনে অস্বস্তিকর কিছু দেখেছি।”
 
স্কুল ও সমাজের দায়িত্ব:
- 
স্কুলে ডিজিটাল নিরাপত্তা শেখানো যেমন: সাইবার বুলিং, অনলাইন প্রতারণা ইত্যাদি।
 - 
শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের জন্য সচেতনতা কর্মশালা আয়োজন।
 - 
মিডিয়া, কমিউনিটি সেন্টার ও প্রযুক্তি কোম্পানির সঙ্গে মিলিয়ে শিশুদের জন্য নিরাপদ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তৈরি।
 
শিশুরা কিভাবে সচেতন হতে পারে:
- 
নিজের মনোভাবের ওপর ভরসা রাখা। কিছু অস্বাভাবিক লাগলে, তা সত্যিই বিপজ্জনক হতে পারে।
 
সতর্কতার লক্ষণ:
- 
অচেনা কারো হঠাৎ অতিরিক্ত ভালো ব্যবহার
 - 
ব্যক্তিগত প্ল্যাটফর্মে যেতে চাপ দেওয়া
 - 
ছবি বা টাকা চাওয়া
 
শিশুদের শুধু বিপদের কথা বলা যথেষ্ট নয়। তাদের এমন সাহস দিতে হবে যাতে বিপদের সময় তারা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। বাবা-মা ও শিক্ষকদের উচিত তাদের পাশে থাকা। সচেতনতা, আত্মবিশ্বাস এবং সঠিক পদক্ষেপই শিশুকে রাখবে নিরাপদ।
			
    	
		    
                                
                                





							



