নিউজ ডেস্ক : ঝিনাইদহের মহেশপুরে আলী আহম্মদ নামে এক ব্যক্তির বয়স্ক ভাতার টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের সদস্য আজিজুল রহমান।
এদিকে নিজের নম্বরে কোনো টাকা না আসায় মহেশপুর সমাজসেবা অফিসে গিয়ে জানতে পারেন তার নম্বরের জায়গায় ইউপি সদস্যের ছেলে আসাদুজ্জামানের নম্বর দেওয়া রয়েছে।
এছাড়াও আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে আরও অনেক কার্ডে ভুক্তভোগীর নম্বরের জায়গায় নিজের পরিবারের লোকজনের নম্বর দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
শনিবার (১ জুলাই) বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন আলী আহম্মদের ছেলে জাকির হোসেন।
আরো পড়ুন – বর্ষার শুরুতেই নৌকা তৈরির ধুম
আলী আহম্মদ বলেন, আজিজুর রহমান ইউপি সদস্য নির্বাচিত হবার পর ভোটার আইডি কার্ড চেয়ে নিয়ে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেন।
এরপর সবার মোবাইলে টাকা আসলেও আমার মোবাইলে কোনো টাকা আসেনি।
কারণ জানতে একাধিকবার ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউপি সদস্যের কাছে গিয়েও কোনো লাভ হয়নি।
যে কারণে স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্যকে নিয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসে গিয়ে দেখতে পাই আমার নম্বরের জায়গায় ইউপি সদস্যের ছেলের নম্বর দেওয়া হয়েছে এবং অফিস জানায়- এতদিন ওই নম্বরেই সব টাকা ঢুকেছে।
বিষয়টি জানাজানি হলে ইউপি সদস্যের ছেলের নম্বর পরিবর্তন করে আমার নম্বর দিয়েছেন।
তবে নম্বর পরিবর্তন করলেও দেড় বছরে আমি কোনো টাকা পাইনি।
ইউপি সদস্য আজিজুর রহমান বলেন, যেকোনো কারণবশত আলী আহম্মদের মোবাইল নম্বরের জায়গায় আমার ছেলের নম্বর হয়ে গিয়েছিল।
পরবর্তীতে মীমাংসার মাধ্যমে ভুক্তভোগীকে টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।
মহিলা সদস্য আছিয়া খাতুন বলেন, এর আগেও তিনি এমন কাজ করেছেন পরবর্তীতে আমি সেগুলো ঠিক করে দিয়েছি।
বাঁশবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারমান নাজমুল হুদা জিন্টু বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সমাজসেবা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কার্ডধারী যাতে তার প্রাপ্ত টাকা ফিরে পেতে পারে সে ব্যাপারে ইউপি সদস্যকে বলা হবে।