অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে গত ২৮ অক্টোবর জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা বলা হয়। সেখানে বলা হয়, শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীর পেনশন ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী পুনঃস্থাপিত হয়ে থাকলে তার মৃত্যুর পর তার বিধবা স্ত্রী বা বিপত্মীক স্বামী ও প্রতিবন্ধী সন্তান (যদি থাকে) সেই পেনশন সুবিধা প্রাপ্য হবেন। এছাড়া তারা ২০১৭ সালের ৩ আগস্টের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী চিকিৎসা ভাতা ও উৎসব ভাতা প্রাপ্য হবেন।
১৯৯৪ সাল থেকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শতভাগ পেনশন একবারে তুলে নেওয়ার সুযোগ চালু করা হলেও ২০১৭ সালের ৩০ জুন তাতে পরিবর্তন আসে। ওই বছরের ১ জুলাই থেকে পেনশনের ৫০ শতাংশ সরকারের কাছে বাধ্যতামূলকভাবে সংরক্ষণের বিধান চালু করা হয়। পরে ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবরের অর্থ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শতভাগ পেনশন নিয়ে নেওয়া সরকারি কর্মচারীরা অবসর নেওয়ার দিন থেকে ১৫ বছর সময় পার হওয়ার পর পুনরায় মাসে কমপক্ষে তিন হাজার টাকা করে পেনশন পাবেন। সেই আদেশে বলা হয়েছিল, শতভাগ পেনশন নিয়ে নেওয়া কর্মচারীর ২০১৭ সালের ১ জুলাই বা তার পরবর্তী সময়ে যে পেনশন নির্ধারিত হবে তার ওপর প্রতি বছর ১ জুলাই ৫ শতাংশ হারে বার্ষিক ইনক্রিমেন্টও দেওয়া হবে। তার মৃত্যুর পর স্ত্রী বা স্বামী কিংবা প্রতিবন্ধী সন্তানের ওই টাকা পাওয়ার কথা সেই প্রজ্ঞাপনে ছিল না। এবার নতুন প্রজ্ঞাপনে সরকার সে বিষয়টি স্পষ্ট করল।