নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলে অবহেলা ও ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগে ডাক্তারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন এক হতভাগ্য বাবা।
আর মামলাটি করা হয়েছে টাঙ্গাইল শহরের রেজিস্ট্রিপাড়া অবস্থিত ব্যুরো হেলথ কেয়ারের গাইনী ডাক্তার নাসরিন সুলতানা রত্নার বিরুদ্ধে।
মামলাটি করেছেন টাঙ্গাইল পৌরসভাধীন উত্তর থানাপাড়া নিবাসী মো. আবুল খায়ের ইমরুল (৩৫)।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, মো. আবুল খায়ের ইমরুলের স্ত্রী মোছা. চাদনী ইসলাম প্রসুতি অবস্থায় চলতি বছরের ০৪ মে থেকে ডা. নাসরিন সুলতানা রত্নার তত্ত্ববধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এমতাবস্থায় গত ০৯ আগস্ট ডাক্তার রত্না প্রসুতি চাদনীকে সিজার করে বাচ্চা প্রসব করান।
প্রসবের পরপরই বাচ্চাটির আশঙ্কজনক হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
পরে ১৩ আগস্ট বাচ্চাটি মারা যায়।
ব্যুরো হেলথ কেয়ার সূত্র জানায়, ঘটনার পর ডা. নাসরিন সুলতানা রত্নাকে ক্লিনিক থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ব্যুরো হেলথ কেয়ারের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক হারুন অর রশিদের সাথে বার বার যোগাযোগ করেও কথা বলা যায়নি অজানা কারণে।
মামলায় উল্লেখিত ঘটনা থেকে আরো জানা যায়, একই এলাকার আরো এক রোগী মো. রূপকের স্ত্রী মোছা. লুবনার সাথেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
গত ০৯ মে লুবনাকে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বলা হয়।
পরীক্ষা করার পর ডা. নাসরিন সুলতানা রত্না প্রসুতি রোগী লুবনার টিউমার হয়েছে বলে মতামত দেন।
তার চারমাস পরে ০৮ সেপ্টেম্বর লুবনা একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে একই পরীক্ষা করান।
ওই ডাক্তার লুবনার কোন টিউমার নাই বা কোন অপারেশন করা লাগবে না বলে জানানা।
এই ভুক্তভোগী লুবনা মামলার দুই নম্বর সাক্ষী।
মামলায় ডা. নাসরিন সুলতানা রত্নাকে ভুল চিকিৎসা প্রদান, ভুল রিপোর্ট বর্ণনা, অজ্ঞতা ও অসাবধানতাবশত শিশুর হত্যাকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মামলায় ডা. নাসরিন সুলতানা রত্নার বিরুদ্ধে শিশুটির সাধারণ ভাবে জন্মগ্রহণে বাঁধা ও জন্মের পর পরই যেন মৃত্যুবরণ করে সেই ধরণের কাজে করিয়াছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযুক্ত চিকিৎসক রত্না যা বললেন –
এই বিষয়ে ডা. নাসরিন সুলাতানা রত্না তার উপর আরোপিত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন উল্লেখ করে মুঠোফোনে বলেন, আমি আমার দায়িত্ব পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পালন করেছি।
প্রসুতি রোগী মোছা. চাদনী ইসলাম উচ্চমাত্রায় ডায়াবেটিকস আক্রান্ত ছিল।
আর ডায়াবেটিকস আক্রান্ত প্রসুতির যে কোন ধরণের সমস্যা হতে পারে।
আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি আমি এই রোগীর ক্ষেত্রে কোন প্রকার গফিলতি করি নাই বা হয় নাই।
রোগীর পরিবার আমার সাথে দেখা করলে আমি তাদের বোঝাতে সক্ষম হব বলেও আশা করি।