বিশ্বে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়া সরকার ১৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য ইউটিউবসহ সব ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে যাচ্ছে। ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
প্রথমে ইউটিউব এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকলেও সরকার এখন সেটাকেও অন্তর্ভুক্ত করছে। ফলে টিকটক, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, এক্স (সাবেক টুইটার) ও স্ন্যাপচ্যাটের মতো ইউটিউবেও ১৬ বছরের নিচের ব্যবহারকারীরা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে না, ভিডিও আপলোড বা কমেন্ট করতে পারবে না।
অস্ট্রেলিয়ার ই-সেইফটি কমিশনার জুলি ইনম্যান গ্রান্ট জানিয়েছেন, ১০-১৫ বছর বয়সীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর কনটেন্ট ইউটিউবেই দেখা যায়। তাই সেটিকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা জরুরি।
প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজ বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের শিশুদের ক্ষতি করছে। এই নিষেধাজ্ঞা বড় একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।”
তবে ইউটিউবের মালিক গুগল এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। তারা বলেছে, ইউটিউব সোশ্যাল মিডিয়া নয় বরং শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম।
অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল কমিউনিকেশনস মন্ত্রী আনিকা ওয়েলস বলেন, “এই লড়াই শিশুদের নিরাপত্তার জন্য। শিকারি অ্যালগরিদম যেন শিশুদের ক্ষতি না করতে পারে, সেটিই লক্ষ্য।”
কোন অ্যাপ নিষেধাজ্ঞার বাইরে: অনলাইন গেমিং, মেসেজিং, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক অ্যাপগুলো নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। কারণ এগুলোর দ্বারা শিশুদের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে না বলে মনে করছে সরকার।
জরিমানার বিধান: যেসব প্রযুক্তি কোম্পানি বয়সসীমা লঙ্ঘন করবে, তাদের ৫০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।
এই নীতিমালাকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ইতিমধ্যে নরওয়ে অনুরূপ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এবং যুক্তরাজ্যও বিবেচনায় রেখেছে।